দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নারীদের শাড়িতেই লাগে সুন্দর। শাড়িই হলো বাঙালী নারীর ভূষণ। তাই এই কথাকে যুগে যুগে সত্যি করে আসছেন এদেশের নারীরা। তবে পুরোনো শাড়িতেও হতে পারে দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্য!। তবে কীভাবে সম্ভব?
এক সময় শাড়িকে নারীর ভূষণ বলা হলেও বর্তমানে নারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সালোয়ার কামিল পরতে পছন্দ করেন। তবে এটিও ঠিক যে একজন নারীকে শাড়িতেই কিন্তু বেশি মানানসই লাগে। যেহেতু সালোয়ার কামিজ এখনকার স্ত্রীদের বেশি পছন্দ তাই তাদের শাড়িও থাকে অনেক কম। তাছাড়া একটি শাড়ি একবার পরার পর খুব কমই সেই শাড়িটা আবার পরা হয়ে থাকে। শাড়িগুলোর ঠাঁই হয় আলমারিতেই। আর বর্তমানে করোনার কারণে মার্কেটে যাওয়া বেশ ভয়ের ব্যাপার। তাই এবার পুরোনো শাড়িগুলোকে সঠিক কাজে লাগাতে কিছু টিপস জেনে নিন, যা আপনার সেই পুরোনো শাড়িটিকে নতুন করে কাজে লাগবে।
# পুরনো জামদানি শাড়ি কিংবা কটন ইক্কত হলো যে কোনো বাঙালি নারীর আভিজাত্যের এক নিদর্শন। সেই শাড়িটি দীর্ঘদিন পরা না থাকার কারণে পুরোনো দেখতে হয়ে গেলে তা কখনও দূরে ঠেলে দেবেন না। লম্বা করে জানলায় পর্দার সাইজে কেটে তা ঝুলিয়ে দিন। দেখবেন আপনার ঘরের শোভা যেনো পাল্টে দিয়েছে এই একটি জিনিস।
# আপনার অনেক পুরোনো শাড়ি নিশ্চয়ই রয়েছে আলমারিতে? বাড়ির ড্রয়িং রুমের পুরোনো ল্যাম্পশেডের উপরের কভারটি যদি খুব খারাপ দেখায় বা ছিঁড়ে যায় তাহলে এবার সেখানে দেখান নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা। এবার আলমারি থেকে বের করা শাড়ি কেটেই সুন্দর কভার বানিয়ে ফেলুন। কিংবা ড্রইং রুমের নানা সাজেও এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
# বাটিকের কাজের শাড়ি সব মহিলাদের সম্ভারেই থাকে, কারণ গরমকালে এগুলি পরলে খুব আরাম মনে হয়। এমন কোনো শাড়ি যার কাজটা ফিকে হয়ে গেছে সেটা বের করে ফেলুন। বটুয়া বা নানা আকারের পার্স বানান বাড়ির অন্যান্য নারী সদস্যদের জন্য। আবার গিফটও দেওয়া যাবে বন্ধুজনকে। যাকে দেবেন তিনি সত্যিই চমকে যাবেন। নিজেও যে কোনো অনুষ্ঠানে সঙ্গে নিয়ে নিতে পারেন ম্যাচ করে।
# আপনার খুব গর্জাস একটা চোলি যদি থাকে কালেকশনে, তাহলে বারবার অনুষ্ঠান বাড়িতে একই লেহেঙ্গা দিয়ে রিপিট না করে লং স্কার্ট বানিয়ে পরতে পারেন।
# বেনারসি কিংবা কাঞ্জিভরমের দোপাট্টা আজকালকার ফ্যাশনে খুব চলছে। যে কোনো সাদামাটা কুড়ি কিংবা কামিজকে উজ্জ্বল রূপ দেয় এই দোপাট্টা। এমন একটি শাড়ি তো বিয়ের পর নিশ্চয়ই পেয়েছেন উপহার হিসেবে। সেটা এবার সুযোগ বুঝে ব্যবহার করতে পারেন। শাড়ি কেটে বানিয়ে ফেলুন সুন্দর একটি ওড়না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।