দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের আহমেদাবাদের একটি শিশুকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন ছিল একটি মাত্র ইঞ্জেকশন। অথচ ওই ইঞ্জেকশনের দাম ১৬ কোটি রুপি! একমাত্র ওই ওষুধটিই পারে ছোট্ট দুধের শিশুটির জীবন বাঁচাতে। মানুষের সাহায্যে তা সম্ভব হয়েছে!
কী অসুখ হয়েছিল আহমেদাবাদের ওই শিশুটির? ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, জন্ম থেকে সে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি টাইপ-১ নামে একটি নিউরোমাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অত্যন্ত বিরল জিনঘটিত এই অসুখ বিশ্বের প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ১ জনের হয়ে থাকে। যে কারণে শিশুটি তার শরীরের কোনো অঙ্গ নাড়াতেই পারে না। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে মৃত্যু নিশ্চিত বলা যায়।
এই অবস্থা হতে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হলো ওই ইঞ্জেকশন। মাত্র ২ বছর আগে মার্কিন সংস্থা অ্যাভেক্সিসের তৈরি করা ওষুধটি ছাড়পত্র পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পরে ব্রিটেনও এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। আসলে ধাইরয়ারাজসিং রাঠোরের মতো যারা ওই রোগে আক্রান্ত হন, তাদের শরীরে এসএমএন১ জিনটিই থাকে না। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সেটিই তাদের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। তাতেই শরীরের সব পেশী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
তবে সেই ওষুধের দাম অনেক বেশি অর্থাৎ ১৬ কোটি রুপি। স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকদের কাছ থেকে খরচের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান ৫ মাসের ধাইরয়ারাজসিং রাঠোরের বাবা-মা। মনে হয়েছিল এতো টাকার কয়েক শতাংশও যেখানে জোগাড় করা অসম্ভব, সেখানে তাদের সন্তানের রোগমুক্তির কোনো সম্ভাবনাই অবশিষ্ট রইলো না।
শিশুটির বাবা রাজদীপ সিং রাঠোরের ভাষায়, ‘বুঝতে পারছিলাম আমাদের যা কিছু রয়েছে সব কিছু বিক্রি করে দিয়ে এবং সব সঞ্চয়কে কাজে লাগিয়েও ওই অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হবে না।’ তবে এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে ‘ইমপ্যাক্ট গুরু’র মতো গণ-তহবিল সংগ্রহকারী সংস্থাগুলো। মাত্র ৪২ দিনে ২.৬ লক্ষ মানুষ নিজেদের সাধ্যমতো অনুদান দেন ওই তহবিলে। তাতেই উঠে আসে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ।
রাজদীপ জানিয়েছেন যে, যারা অর্থ দিয়েছেন তারা কেওই ধনকুবের নন। বেশির ভাগই সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। তবে তাদের সকলের চেষ্টাতেই সম্ভব হলো এমন একটি অসম্ভব। বিরল অসুখ হতে মুক্তি পেলো তাদের একমাত্র সন্তানটি।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on মে ১২, ২০২১ 2:41 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাইব্রেরিতে টেবিলের সামনে বই নিয়ে বসে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…