দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনুকূল তাপমাত্রায় ২৪ হাজার বছর পর আবারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে একটি আণুবীক্ষণিক জীব! রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা সুদূর উত্তরের ইয়াকুটিয়া অঞ্চল হতে আণুবীক্ষণিক এই জীবটি উদ্ধার করেন।
প্রাচীন এই জীবটির নাম হলো ডিলয়েড রটিফার। ডিলয়েড রটিফার নামে এই বহুকোষী জীবটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মিঠাপানির আবাসে পাওয়া যায়। এটি চরম ঠাণ্ডা সহ্য করেও টিকে থাকতে পারে।
উত্তর-পূর্ব সাইবেরিয়ার বিশালতম চিরহিমায়িত (পার্মাফ্রস্ট) অঞ্চলে আণুবীক্ষণিক জীবটি এতো বছর ধরে হীমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় বরফ হয়ে জমেছিলো। উদ্ধারের পর বিজ্ঞানীরা প্রাণবন্ত হয়ে এটি পুনরুৎপাদন শুরু করেছেন।
মাটির ৩ দশমিক ৫ মিটার গভীর হতে সংগ্রহ একটি নমুনা হতে এই প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এর জীবনকাল ২৩ হাজার ৯৬০ হতে ২৪ হাজার ৪৮৫ বছর বলে মনে করছেণ। সম্প্রতি কারেন্ট বায়োলজি নামক সাময়িকীতে প্রাণীটি নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে।
ডিলয়েড রটিফার নিয়ে এর আগে করা কিছু গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন যে, এ গুলো হীমাঙ্কের ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে এক দশক পর্যন্তও টিকে থাকতে পারে। তবে এবার খুঁজে পাওয়া প্রাণীটি বরফ হয়ে টিকে থাকার ক্ষেত্রে এই প্রজাতির পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
তবে হীমাঙ্কের নিচে টিকে থাকার দীর্ঘতম রেকর্ড এটি নয়। এর আগেও নেমাটোড নামে একটি বহুকোষী আণুবীক্ষণিক জীবের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি কিনা ঠাণ্ডায় জমে অন্ততপক্ষে ৩০ হাজার বছর ধরে টিকেছিলো।
তবে কি করে এতো কম উষ্ণতার মধ্যে নিজেদের শরীরে প্রাণের চিহ্ন বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে চলছে গবেষণা। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রাণীদের মধ্যে আসলে এমন কিছু বিশেষ ক্ষমতা থাকে, যা নিজেদের কোষকে অত্যন্ত কম উষ্ণতার মধ্যেও বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। বহুকোষী প্রাণীরা কিভাবে দীর্ঘ বছর বেঁচে থাকতে পারে, তা জেনে রীতিমত অবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যে কারণে আগামী দিনে জিন গবেষণা ও বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাতে গবেষণার নতুন দিগন্ত আবিষ্কৃত হতে পারে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, সাইন্স এলার্ট
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।