দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে গত এক বছরেও বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের দাপটে মানুষ দিশেহারা। আর করোনায় আক্রান্ত রোগীর সবচেয়ে বড় জটিলতা- অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়া। আজ ঘরে অক্সিমিটার না থাকলে জরুরি প্রয়োজনে করণীয় জেনে নিন।
অক্সিজেন কমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এড়াতে সচেতন না-হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বাসায় অক্সিজেন মনিটরিং করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা জানা সম্ভব হয় তাৎক্ষনিকভাবে।
এক্ষেত্রে রোগীর শোয়া এবং বসা অবস্থায় রোগীর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৩-এর নিচে নেমে গেলেই অক্সিজেন দিতে হয়। অক্সিজেন কমে যাচ্ছে কিনা বোঝার জন্য রোগী ১০ মিনিট হাঁটবেন ও হাঁটা অবস্থায় অক্সিজেন মনিটরিং করলে খুব সহজেই অক্সিজেন স্যাচুরেশনের অবস্থাও বোঝা যাবে। হাঁটা অবস্থায় অক্সিজেন ৮৮ পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যেতে পারে। এর নিচে নেমে গেলে অবশ্যই অক্সিজেন দিতে হবে ওই রোগীকে।
তবে অনেকের ঘরেই পালস অক্সিমিটার নেই। তারা চাইলে একটি বিশেষ উপায়ে অক্সিজেন মনিটরিং করতে পারেন। এ জন্য দম বন্ধ করে ১. ২.. ৩… ৪…. করে ২০-৩০ পর্যন্ত গুণতে হবে। যদি দম বন্ধ করে ৯-এর বেশি গুণতে না পারেন তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে। এই মাত্রাটি কেবলমাত্র রোগীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এমন হলে অক্সিজেন গ্রহণের জন্য রোগীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিতে হবে। কেনোনা বাসায় বসে অক্সিজেন গ্রহণ নিরাপদ নয়। কারণ হলো:
কোন রোগীকে কতো মাত্রায় অক্সিজেন দিতে হবে, তা একমাত্র অভিজ্ঞ চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন। ভুলক্রমে অতিমাত্রায় অক্সিজেন গ্রহণ করলে ফুসফুসের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এটি মাথায় রাখতে হবে এবং বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের বিস্ফোরণও ঘটতে পারে সেটিও মনে রাখতে হবে।
যদি একান্তই রোগীকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দিতেই হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের অধীনে টেলিফোনে কিংবা ভিডিও কলে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।
শয়ন পদ্ধতিতে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধির কৌশল
যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা নিচের শয়ন কৌশলগুলো অনুসরণ করলে ভালো ফল পেতে পারেন। হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বা অক্সিজেন কমে গেলে (নিন্মের শয়ন কৌশলের চিত্র অনুযায়ী) ৩০ মিনিট হতে ২ ঘণ্টা শুয়ে থাকতে হবে। তাহলে ফুসফুসে অক্সিজেন বাড়বে ও ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্টও কমে যাবে।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জুন ২৭, ২০২১ 11:37 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে চামড়ায় টান ধরা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে সমস্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অসতর্কতাবশত: হাত থেকে পড়ে গেলেও ফোনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমাতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না, কারণ তাড়াহুড়া করলেই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে স্ট্রিমিং হতে চলেছে সুপারস্টার শাকিব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়া, সাংবাদিককে হুমকি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতিশালের মধ্যে ঘুমোচ্ছে পুচকে একটি বাচ্চা হাতি। শাবকের ঘুম ভাঙাতে…