দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কফি পছন্দ করেন না এমন লোক বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে কফি শুধু যেপানে চাঙ্গা হয় তা কিন্তু নয়, এর আরও অনেক গুণ রয়েছে। যেমন রূপচর্চা। কফিতেও হতে পারে রূপচর্চা!
ত্বক, চুল এবং চোখের যত্নেও কফির আছে বিশেষত্ব। কফির গুড়ো দেদারচে ব্যবহার হচ্ছে সৌন্দর্যচর্চায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
কফিতে রয়েছে ভরপুর প্রোটেক্টিভ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মূলত ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালকে শায়েস্তা করে। কফি মেশানো সাবান কিংবা এর গুড়ো মাখলে ত্বকে তারুণ্য বজায় থাকে। ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়।
ইউভি থেকে বাঁচায় যেভাবে
কফিতে থাকা ক্যাফেইন সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি হতে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। ত্বকের ক্যান্সারসহ নানা জটিলতার মূলে রয়েছে সূর্যের ইউভি রশ্মি। কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা ত্বকের মেলানোমা ক্যান্সারের ডিএনএ ধ্বংস করতে সক্ষম।
উজ্জ্বল এবং মসৃণ ত্বক রাখতে
কফিতে থাকা ক্যাফিক এসিড ত্বকের লোমকূপ খুলে দিতে সাহায্য করে। এতে করে ত্বকে জমে থাকা ধুলো আরও পরিষ্কার হয়। ত্বক হয় উজ্জ্বল মসৃণ এবং টানটান। কফি ত্বকের কোষের পূণ:বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে, কোলাজেন টিসুর সংখ্যা বাড়ায় এবং ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে কফিতে থাকা উপাদানগুলোর জুড়ি নেই।
ফেইস এবং বডি স্ক্রাব
মুখ এবং শরীরের মৃত কোষ দূর করতে কফির গুড়োর সঙ্গে ব্রাউন সুগার এবং অলিভ অয়েল মেশান। প্রাকৃতিক স্ক্রাবটি দারুণভাবে কাজ করবে। বৃত্তাকারভাবে আলতো করে মুখ এবং শরীরে কিছুক্ষণ স্ক্রাবিং করে ধুয়ে ফেলুন।
স্কাল্প এক্সফোলিয়েটর
চুলেও রয়েছে কফির কারিশমা। শ্যাম্পু করার আগে আধা কাপ কফি গুড়ো স্কালপে ২ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে তারপরই শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এটি চুলের মৃত কোষ যেমন দূর করবে, তেমনি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজও করবে।
ত্বকের উজ্জলতার জন্য কফি মাস্ক
কফির গুড়ো এবং কয়েক চামচ দুধের গুড়ো মিশিয়ে তৈরি করুন ফেইস মাস্ক। তারপর ১০/১৫ মিনিট মুখে রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি মূলত উজ্জ্বল ত্বক পেতে সহায়তা করবে।
চোখের ফোলাভাব কমাতে
কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টাল উপাদান ত্বকে রক্তসঞ্চালন আরও বাড়ায়। আবার চোখের চারদিকে গোলাকারভাবে আলতো করে কফির আইস কিউব ব্যবহারের কারণে ফোলাভাবও কমবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।