আজ এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছরের আজকের এই দিন ৬ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। করোনার কারণে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে নেই বিশেষ কেনো আয়োজন।

পারিবারিকভাবে শুধু প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনা করতে রাজশাহীতে এসেছেন শিল্পির স্ত্রী এবং কন্যা।

এই বিষয়ে ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে পরিবারের পক্ষ হতে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। তার আগে বিকেল ৪টায় রাজশাহী সিটি চার্চেও প্রার্থনা করা হবে। করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব স্বল্প পরিসরে এই সব আয়োজন করা হবে। এতে এন্ড্রু কিশোরের পরিবারের সদস্য ও হাতে গোনা কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন অংশ নিবেন। এ ছাড়াও এন্ড্রু কিশোর প্রতিষ্ঠিত ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাচ্চু স্মৃতি সংসদ আজ সকালে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে।

এন্ডু কিশোরের গান মানুষ উদ্বেলিত করে। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তার কণ্ঠে পেয়েছে যেনো এক অনন্য মাত্রা। তার শত শত গান এখনও মানুষের মুখে মুখে শোভা পায। যারমধ্যে ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’ -সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আজও যেনো তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

বাংলা গানের কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামেও অধিক পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে তাকে বলা হয়ে থাকে এক মহাসমুদ্র। যেখানে তিনি অবাধে সাঁতার কেটেছেন কয়েক দশক ধরে।

৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কণ্ঠশিল্পী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেশকিছু দিন ধরেই চিকিৎসা শেষে মৃত্যুবরণ করেন। রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া কিশোর মূলত সেখানেই বেড়ে ওঠেন। পড়াশোনাও করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক এবং দেশাত্মবোধকসহ প্রায় সব ধারার গানে রাজশাহী বেতারে তালিকাভূক্ত হন তিনি। তার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেও’ গানের মধ্যদিয়ে।

তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান ছিলো বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের ‘ধুম ধারাক্কা’। তবে ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ জে মিন্টু পরিচালিত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে ও গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।

এন্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয় গানগুলো হলো: জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার বুকের মধ্যে খানে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, চোখ যে মনের কথা বলে’ ইত্যাদি গান।

উল্লেখ্য যে, বাংলা গানের কিংবদন্তি এই শিল্পী এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। গতবছর না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।