দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (বুধবার) টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে ১৪ বছর পর ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল।
২০০৭ সালে শেষবার কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সেইবার আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। কিন্তু এবার অর্থাৎ ২০২১ সালে কোন দল ফেভারিট? তা এখনও নিশ্চিত নয়।
২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টেও সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিলো ব্রাজিল। তবে পাঁচবার বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল ও দুইবার জয়ী আর্জেন্টিনার মধ্যে লড়াইয়ে কোপা আমেরিকায় এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত ১৪ বার দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা, অপরদিকে মাত্র ৯ বার জিতেছে ব্রাজিল।
সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১০৭ বার মুখোমুখি হয় ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। যেখানে ৪৮ বারই জয় পেয়েছে ব্রাজিল, অপরদিকে ৩৪টি ম্যাচে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ২৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
এই দুই প্রতিবেশি দেশ ঐতিহাসিকভাবেই ফুটবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আছে। কোপা আমেরিকার চলমান আসরে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। তার আগেই পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় ব্রাজিল।
আজকের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে কলম্বিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭ মিনিটে লিওনেল মেসির পাস থেকে একটি গোল দিয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লাউতারো মার্টিনেজ। তারপর ৬১তম মিনিটে লুইস দিয়াজ গোল পরিশোধ করে কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরান।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে ড্র এর মাধ্যমে। যে কারণে ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে। কেনোনা কোপা আমেরিকার নিয়ম অনুসারে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা হওয়ার নিয়ম নেই। সেখানে ৩-২ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়েছে ফাইনাল নিশ্চিত করে মেসির আর্জেন্টিনা।
বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের বড় অংশই এই দুই দেশেরই সমর্থক। বিশ্বকাপ বা কোপা আমেরিকার মতো আসর চলাকালীন সময় ফুটবল ভক্তদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনাও কাজ করে। ফাইনালে ম্যাচে এই উত্তেজনার পারদ বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে আরও উত্তপ্ত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন সময়ই বলে দেবে কে শিরোপা পাচ্ছে। আগামী রবিবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় ফাইনালে মারাকানায় ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে মেসির আর্জেন্টিনা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।