দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এক আইনের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে দেশটির মুসলিম এমপি নাজ শাহ বলেছেন, ভাস্কর্য রক্ষায় আইন হতে পারলে মহানবী (সা.) এর সম্মান রক্ষার্থে আইন করা হবে না কেনো?
ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে ব্রিটিশ সরকার। আইনটিতে ভাস্কর্য রক্ষায় নানা পদক্ষেপ ও এর বিরোধিতাকারীদের জন্য বিভিন্ন শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। পার্লামেন্টে এই আইনের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে দেশটির মুসলিম এমপি নাজ শাহ বলেছেন যে, ভাস্কর্য রক্ষায় আইন হতে পারলে মহানবী (সা.) এর সম্মান রক্ষার্থে আইন করা হবে না কেনো?
গত ৬ জুলাই হাউস অব কমন্সে দেশটির স্মরণীয় ব্যক্তিদের স্ট্যাচু কিংবা ভাস্কর্য ভাঙার অপরাধ বিষয়ক প্রস্তাবিত আইন সম্পর্কিত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভাস্কর্য হামলা কিংবা ভাঙার কারণে মানুষের আনুভূতিতে মারাত্মক আঘাত করে। তাই এই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১০ বছর কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংসদীয় বৈঠকের বক্তব্যে নাজ শাহ বলেন যে, ‘কেনো সাধারণ পাথর কিংবা লোহায় আঘাতের তুলনায় একই বস্তু দিয়ে নির্মিত মানুষের ভাস্কর্যে আঘাতে উল্লেখযোগ্য এই শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে? অথচ ধাতুগত দিক থেকে তারা অনুভূতিশূন্য ও একই বস্তুরই তৈরি। কেনোই বা একটি ভাস্কর্যকে আঘাত সাধারণ বস্তুতে আঘাতের মতো নয়।’
যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন সব মুসলিমরাও একই শ্রদ্ধাবোধ লালন করে এমন কথা উল্লেখ করে নাজ শাহ বলেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে আমি এবং বিশ্বের সব মুসলিম প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-কে সম্মান করেন এবং ভালোবাসেন।’
তিনি আরও বলেন, যখন কোনো ধর্মান্ধ এবং বর্ণবাদী আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করেন বা গালি দেন, যেমন চার্চিলের ভাস্কর্যকে করেছে, তখন আমাদের অনুভূতিতেও তীব্র আঘাত করে। কারণ বিশ্বের দুই শ কোটি মানুষের কাছেই তিনি একজন নেতা, যাকে আমরা প্রতিনিয়তই স্মরণ করি। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে তাঁকে সম্মান জানাই।’
যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক স্মরণীয় ব্যক্তিদের ভাস্কর্য রক্ষায় যেমনিভাবে আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তেমনি অন্যান্য ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখিয়েও আইন করার দাবি জানান এই ব্রিটিশ এমপি।
উল্লেখ্য, নাসিম নাজ শাহ পাকিস্তান বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ এমপি। ২০১৫ সালে তিনি রিসপেক্ট পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ব্র্যাডফোর্ড ওয়েস্ট হতে জর্জ গ্যালোর এমপি নির্বাচিত হন। ইতিপূর্বে তিনি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।