দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তার বয়স তার ৮৬। এই বয়সেও সন্তানের ঘরের সন্তান, সেই সন্তানের সন্তান- এভাবেই ৫ প্রজন্ম দেখেছেন তিনি। স্কটল্যান্ডের মারি মার্শাল নামে ওই বৃদ্ধার নাতি-নাতনির সংখ্যা ৯০ জন!
সর্বশেষ মাসখানেক পূর্বে নাতনি নাইলা ফার্গুস জন্ম নেওয়ায় পঞ্চম প্রজন্ম দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তার। আর সবচেয়ে অবাক বিষয় হলো তিনিসহ এখনও পরিবারটির ৬ প্রজন্মই জীবিত রয়েছেন! তাদের ৫ প্রজন্মই মেয়ের মা। ৬ প্রজন্মের বয়স্কতম সদস্যা হলেন এই বৃদ্ধা মারি। কনিষ্ঠতম সদস্য হলেন নাইলা ফার্গুস।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি প্রজন্ম জীবিত ছিল এমন পরিবারের রেকর্ড হয়েছিলো ১৯৮৯ সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭টি প্রজন্ম একসঙ্গে জীবিত ছিল এই পরিবারে। আর একটি প্রজন্ম দেখতে পেলেই বৃদ্ধা মারি সেই রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলবেন। তবে ৫ প্রজন্ম দেখে মারি স্কটল্যান্ডে রেকর্ড তো করেছেন, ব্রিটেনেরও রেকর্ড করেছেন করেছেন তিনি। ব্রিটেনে তিনিই একমাত্র নারী যার ৬ প্রজন্মই জীবিত রয়েছে।
৬ প্রজন্মের উত্তরসূরিকে নিয়ে নিজেকে ভাগ্যবতী বলে মনে করেন মারি। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এদো বড় একটা পরিবার পেয়ে তার সুখের যেনো শেষ নেই। এতো বড় পরিবার নিয়ে খুশিও পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
৮৬ বছর বয়সে ৬ প্রজন্মের দেখা পাওয়ার মূল কারণ হলো তার উত্তরসূরিদের ১৮ বছর কিংবা তার আগেই প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়া। ৫ প্রজন্মের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নাইলার মা টনি লেইয়েরও বয়সও বর্তমানে ১৭।
বৃদ্ধা মারির জন্ম হয়েছিলো ১৯৩৫ সালে। তিনিও তার প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সেই। মারির ৮ সন্তান। আর এই ৮ জনই কন্যা। তাদের মধ্যে সবার বড় রোজ থরবার্নের বয়স বর্তমানে ৬৮ বছর। রোজের ৪টি সন্তান। এদের মধ্যে আবার সবার বড় চেরিলের বয়স বর্তমানে ৫০ বছর। চেরিল মা হয়েছিলেন মাত্র ১৫ বছর বয়সেই। ১৯৮৬ সালে তার কন্যা ক্যারির জন্ম হয়েছিলো। ক্যারির বয়স এখন ৩৫। তবে ইতিমধ্যেই ৪ সন্তানের মা তিনি। নতুন মা টোনি লেই এইটকেন ক্যারিরই হলো বড় মেয়ে।
এদিকে টোনি ছাড়া বাকিরা প্রত্যেকেই কর্মরত ছিলেন কিংবা রয়েছেন। স্কটল্যান্ডের জাতীয় চিকিৎসা পরিষেবা এনএইচএস-এর অধীনে এরা বংশানুক্রমে সেবিকার কাজও করে আসছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।