লবঙ্গ জ্বরসহ যেসব সমস্যা দূর করতে পারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লবঙ্গ ছোট্ট একটি মসলা। এটি শুধু মসলাই নয়, এর বাইরেও বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক এই উপাদানটি। লবঙ্গ জ্বরসহ আরও অনেক সমস্যা দূর করতে পারে। আজ জেনে নিন বিষয়গুলো।

সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়ম মেনে লবঙ্গ ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যাবে। লবঙ্গের সেই উপকারগুলো আজ জেনে নিন:

# যদি কখনও আপনার দাঁতের ব্যথা হয় তাহলে একটি লবঙ্গ মুখে নিতে হবে। তারপর সেটি চিবুতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন যে, আপনার দাঁতের ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে।

# আমাদের নানা কারণে প্রায়ই বমি বমি ভাব দেখা যায়। এক্ষেত্রে লবঙ্গ মুখে রাখলে কিংবা একটি গ্লাসে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে খেলে আপনি উপকার পাবেন।

# যাদের ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে তাদের জন্যও লবঙ্গ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। হাল্কা গরম পানিতে ১০ ফোঁটা লবঙ্গ তেল এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারে, এতে বেশ উপকার পাবেন।

# আবার সর্দি-কাশি সমস্যা দেখা দিলেও লবঙ্গ খাওয়ার কারণে আরাম পাওয়া যায়। যাদের বুকের মধ্যে কফ রয়েছে তারাও উপকার পেয়ে থাকেন এই ছোট্ট জিনিসটি খেয়ে। এমনকি নিঃশ্বাসে যাদের দুর্গন্ধ বের হতে থাকে তাদের জন্যও বড়ই উপকারী এই লবঙ্গ।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।