মোবাইল ফোন অপারেটররা অব্যবহৃত ডাটা ফেরত দিচ্ছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইল ফোন অপারেটররা অব্যবহৃত ডাটা ফেরত দিচ্ছে। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গ্রাহকদের ডাটা ফেরত দিতে বলেছিলেন।

মোবাইল ফোন অপারেটররা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত মোবাইল ডাটা ফেরত দিচ্ছে , তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করা হয়েছে। একই মেয়াদের ডাটার প্যাকেজ কিনলে তবেই অব্যবহৃত ডাটা ফেরত পাওয়া যাবে এবং তা ওই প্যাকেজের মেয়াদের মধ্যেই তা ব্যবহার করতে হবে। গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংকের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য এই শর্তযুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে এতে করে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি না, তা বিটিআরসি অবশ্য খতিয়ে দেখবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি বিটিআরসিকে এই বিষয়ে নির্দেশও দিয়েছি। বিটিআরসিও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কমিটি গঠন করেছে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের মধ্যে যারা গ্রাহকদের অব্যবহৃত ডাটা ফেরত দিচ্ছে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে এই ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াটি কতোটা স্বচ্ছ, তাতে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি- হচ্ছে না, সেটি যাচাই করা হবে। যেসব অপারেটর ৭ দিনের কম মেয়াদে ডাটা প্যাকেজ বিক্রি করছে তাদেরও জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে।’

গত সপ্তাহে মন্ত্রী বিটিআরসি ও কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকমের সঙ্গে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গ্রাহকদের অব্যবহৃত ডাটা পরবর্তী সময় কেনা ডাটা প্যাকেজের সঙ্গে ফেরত দিতে তিনি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটা তারা আগে ফেরত দিতো। আমি নিজেও এই ডাটা ফেরত পেয়েছি। কলড্রপ হলে তার ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। তবে এখন তা পাওয়া যাবে না কেনো? গ্রাহকরা যাতে তাদের কেনা ডাটা প্রয়োজন অনুসারে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পান, সে কারণেই ডাটা প্যাকেজগুলোর মেয়াদ কমপক্ষে ৭ দিন করারও নির্দেশনা ছিল। তবে এখনও সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন কেনো হচ্ছে না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জানিয়েছিলেন যে, মোবাইল ফোন অপারেটরদের ৩ দিনের, ৫ দিনের প্যাকেজসহ সব ছোট প্যাকেজ ওই বছরের ২৭ জানুয়ারির পর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। এসব ছোট প্যাকেজে প্রতারিত হয়ে আসছেন গ্রাহকরা। ২৭ জানুয়ারির পর থেকে ৭ দিনের নিচে টকটাইম কিংবা ইন্টারনেটের কোনো প্যাকেজ থাকবে না। তবে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি।

এদিকে গ্রাহকদের অব্যবহৃত ডাটা ফেরত সম্পর্কে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি আংকিত সুরেকা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলালিংক নেটওয়ার্কে গ্রাহকরা ইতিমধ্যে ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ডের সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন। কোনো গ্রাহক যদি একটি ডাটা প্যাকের মেয়াদের মধ্যে যে কোনো মূল্যের আরেকটি একই মেয়াদের ডাটা প্যাক কেনেন, তাহলে আগের প্যাকটির অব্যবহৃত ডাটা নতুন ডাটা প্যাকের সঙ্গে যুক্ত হবে।

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেছেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট প্যাকেজ কেনার মাধ্যমে গ্রাহকদের এখনও অব্যবহৃত ডাটা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বৈশ্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশে স্পেকট্রামের দাম অনেক বেশি। তারপরও আমাদের ডাটার মূল্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বনিম্ন। ডাটা প্রাইস বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক চর্চার পাশাপাশি জটিল এবং কঠোর নিয়ন্ত্রক কাঠামো উপেক্ষা করা মোটেও ঠিক হবে না।’

এই বিষয়ে গ্রামীণফোনর পক্ষ হতে জানানো হয়, একই মেয়াদ এবং মূল্যের প্যাকেজ কিনলে তাদের গ্রাহকরা অব্যবহৃত ডাটা ফেরত পাচ্ছেন এবং সেটা এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়েও দেওয়া হচ্ছে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।