দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যালোভেরা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এটি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বকও রক্ষা করে। এছাড়াও খুশকি দূর করতে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। জেনে নিন এর ব্যবাহার।
মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূর করতেও এই অ্যালোভেরার উপাদানটি বেশ কার্যকর। এটি চুল এবং মাথার তালুর জন্যও খুবই উপকারী উপাদান। আপনি শুধু অ্যালোভেরার রস বা তার সঙ্গে কিছু উপাদান মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। চুলের খুশকি দূর করতে কী কী উপায়ে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন এই বিষয়ে জেনে নিন।
অ্যালোভেরার রস: চুলকে ছোট ছোট ভাগ করে নিয়ে অ্যালোভেরার রস লাগাতে হবে। ১০-১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। খুশকি দূর করতে সব সময় চুল ধোয়ার আগে মাথার তালুতে অ্যালোভেরার রসও লাগাতে পারেন। এটি খুবই কার্যকরী এবং সহজ উপায়।
অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল মাথার তালুতে যে কোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বা খুশকি সৃষ্টি হওয়া থেকে রক্ষা করে থাকে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ উপাদান। কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ পরিমাণ অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে চুলের গোড়া এবং তালুতে লাগান। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে ১০ হতে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে লেবুর রস: লেবুর রসে রয়েছে অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ উপাদান যা খুশকি দূর করতে কাজ করে থাকে। একটি লেবুর রস নিয়ে তাতে দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে মাথার তালুতে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট রেখে তারপর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে নারিকেল তেল ও হলুদ: অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে তালুতে খুশকি সৃষ্টি হতে পারে। অ্যালোভেরা এবং নারিকেল তেল তালুর এই শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। হলুদ মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে আধা কাপ অ্যালোভেরার রস, ১ কাপ নারিকেল তেলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো নিন। এই মিশ্রণটি তালুতে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে ভিনেগার: ভিনেগার মাথার তালুর সাধারণ পিএইচের মাত্রা বজায় রেখে চুলকে খুশকিমুক্ত রাখতে সাহায্য করে থাকে। আধা কাপ ভিনেগারের সঙ্গে সমপরিমাণ অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে নিন। ২ কাপ পানি দিয়ে পুরো মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি মাথার তালুতে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো ধুয়ে নিতে হবে। এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে খুশকি দূর করতে পারবেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।