দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হিন্দু হয়েও কুরআনের আয়াত লিখতে পারদর্শী অনীল কুমার! ৩০ বছর ধরে মসজিদের দেওয়ালে দেওয়ালে আয়াত লিখে আসছেন তিনি।
নিজে নিজেই ক্যালিগ্রাফি শিখেন অনীল কুমান চৌহান। তারপর থেকেই ২০০-র বেশি মসজিদে গত ৩০ বছর ধরে কুরআনের আয়াত লিখে চলেছেন অনীল। এই ব্যক্তি বসবাস করেন ভারতের হায়দরাবাদে।
বর্তমানে অনীলের বয়স ৫০ বছর। ক্যালিগ্রাফিই তার নেশা। তবে কখনও কোনও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যালিগ্রাফি শেখেননি অনীল। বরং হায়দরাবাদে উর্দু ভাষায় বিভিন্ন দোকানের সাইনবোর্ড পেইন্ট করতে গিয়ে তিনি ক্যালিগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।
অনীলের ভাষায়, আমি একজন গরিব হিন্দু পরিবারের সন্তান। পরিবারকে সাহায্য করতে ১০ম শ্রেণীর পর আর কখনও পড়াশোনা করতে পারিনি। আমি খুব ভালো আঁকতে পারতাম। তাই আমি সাইনবোর্ড পেইন্টার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করি।
তিনি আরও বলেন, আমি ৩০টি মন্দিরে হিন্দু দেব-দেবীর ছবি এঁকেছি। অনেক দরগা ও মঠ-আশ্রমেও ছবি এঁকেছি। ১০০টির বেশি মসজিদে আমি টাকার বিনিময়ে ক্যালিগ্রাফিও করেছি। তবে আরও অন্তত ১০০টি মসজিদে কাজ করেছি বিনা পয়সায়।
অনীল কুমার বলেন, আমি এসব স্থানে গেলে এক ধরনের আত্মিক টান অনুভব করি। তাই টাকা-পয়সার প্রতি খুব একটা মন টানে না আমার। দেশজুড়ে ঘুরে ঘুরে মাসে প্রায় ২৬ হাজার রুপি আয় করেন অনীল কুমার।
তবে উর্দু ভাষা শেখার জন্য কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষাই নেননি অনীল। আবার তিনি কোনও ধর্মীয় স্কুলেও পড়াশোনা করেননি।
অনীল বলেন, আমি পেইন্টিং করতে গিয়ে উর্দু পড়া এবং লেখা শিখি। মানুষজন আমার কাজে মুগ্ধ হয়। তারা আমাকে শহরজুড়ে বিভিন্ন স্থাপনায় কুরআনের আয়াত লেখার কাজও দিতে থাকে।
৩০ বছর আগে হায়দরাবাদে উর্দুর ব্যাপক প্রচলন ছিল। কারণ সেখানকার অধিকাংশ মানুষ ও দোকানদারই মুসলিম ছিল। তাই উর্দু শেখা ছাড়া কোনও বিকল্পও ছিল না। তাই তিনি এই ভাষার সঙ্গেই নিজেকে পরিচিত করে তোলেন অনীল।
তবে না বুঝে লিখতে লিখতেই ধীরে ধীরে উর্দুর প্রেমের পড়ে যান অনীল কুমার। ধীরে ধীরে উর্দু ভাষার বর্ণমালা শিখেও ফেলেন তিনি। অবসরে উর্দু চর্চাও করতেন তিনি। এভাবেই এই ভাষা রপ্ত করেন অনীল কুমার।
অনীল আরও বলেন, ১৯৯০-র দশকে আমার কাছে সবচেয়ে বড় কাজ এসেছিলো। তখন আমাকে হায়দরাবাদের আইকনিক নূর মসজিদে কুরআনের আয়াত লেখার কাজ দেওয়া হয়।
অনীল বলেন, আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। কারণ তারা আমার মেধাকে চিনতে পেরেছেন। শুধু তাই নয়, এজন্য শহরের এলিটরা আমার জন্য তাদের দুয়ারও খুলে দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।