ডেটলাইন ১২ সেপ্টেম্বর: জুতো খুঁজতে পেরেসান শিক্ষার্থী!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে স্কুল-কলেজ। এই দীর্ঘ সময় ঘরের মধ্যে বন্দি অবস্থায় ছিলো শিক্ষার্থীরা। স্কুল খোলার প্রস্তুতি হিসেবে বই-খাতা, স্কুল ড্রেস ও জুতো তৈরি করতে ব্যস্ত সবাই। এক শিক্ষার্থী পেরেসান তার জুতো না পেয়ে!

বই-খাতার ময়লা ঝেড়ে প্রস্তুত করেছে সেগুলো স্কুলে নিয়ে যাওয়ার মতো করেন এক শিক্ষার্থী। স্কুল ড্রেসও ছিলো ‘বিদিকিষ্টি’ অবস্থায়। সেগুলোও ধুয়ে পরিষ্কার করেছেন। আইরণও করা হয়েছে সেগুলো ১২ সেপ্টেম্বরের প্রস্তুতি হিসেবে। সব ঠিকঠাকই ছিলো। বেশ খুশিতেই ছিলো ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু গোল পাকলো জুতোর কথা মনে পড়ায়। জুতো কোথায়? দেড় বছর আগের কথা। জুতো রাখার বাক্সে তো জুতো নেই! তাহলে কী হবে? খোঁজাখুঁজি শুরু। ঘরের সবখানে শুরু হলো সার্চ। এমনিতো এখন খুব সহজে গুগলে সার্চ দিয়ে সবাই অভ্যস্ত। কিন্তু জুতোর তলায় তো জিপিআরএস লাগানো ছিলো না যে সার্চ দিয়ে বের করবে! শুরু হলো খোঁজাখুঁজি। ঘরের প্রতিটি জায়গায় সার্চ করা শুরু হলো।

দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার সার্চের পর পাওয়া গেলো খাটের নীচে এক কোনায় সেই জুতো (সাদা কেটস)। সাধারণ দেখা যায়, বাচ্চারা স্কুল থেকে ফিরে যত্রতত্র ফেলে রাখে জুতা মোজা। মায়েরা এইসব জুতো বা মোজা পরিষ্কার করে রাখেন। কিন্তু স্কুল বন্ধের পর সেইসব জুতো-মোজার কোনো খোঁজ ছিলো না।

১২ সেপ্টেম্বর খুলছে স্কুল-কলেজ। দীর্ঘ দেড় বছর বন্দি জীবন কাটানোর পর শিক্ষার্থীরা মুক্ত বাতাসে স্কুল জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। সেই আনন্দে তারা এখন আত্মহারা। করোনার কারণে মানুষের জীবন যাপন একেবারে পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। তবে সবচেয়ে ক্ষতি হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের। অনলাইনে পড়া-লেখা হলেও সেটি ছিলো খুব সামান্য। তাছাড়া শিক্ষার্থীরাও বেশ অমনোযোগী ছিলো এতোদিন। তবে স্কুল খোলার খবরে তারা বেশ উৎফুল্ল। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সবাইকে- তা নাহলে সর্বনাশ।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।