দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময় বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকির তালিকায় উঠে এসেছে ডলফিনের নাম। এরা হত্যার শিকার হচ্ছে। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ফ্যারো দীপপুঞ্জে রীতিমতো উৎসব করে হত্যা করা হয় ডলফিন! চারশ বছর ধরে চলে আসছে এই উৎসবটি!
ডেনমার্কের অধীনে স্বশাসিত অঞ্চল হলো এই ফ্যারো। সম্প্রতি সেখানে পালিত হয় গ্রিন্ডাড্র্যাপ নামে এই উৎসব। এইদিন এক হাজার চারশরও বেশি ডলফিন হত্যা করা হয়। পরিবেশ বিজ্ঞানী, সমুদ্র এবং তার জীবনচক্র নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা এই নির্বিচারে প্রাণীহত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন। তারা অবিলম্বে এই প্রথা বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন।
একসময় শিকার উৎসবে যুক্ত ছিল, এরকম একটি সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, এ বছর এতো বেশি প্রাণীহত্যা করা হয়েছে যে, তিনি নিজেকে শেষ পর্যন্ত উৎসব থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা সি শেফার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটা দীর্ঘ ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে যে, শিকার উৎসবে এক হাজার ৪২৮টি ডলফিনকে হত্যা করা হয়। এই ডলফিনগুলোর একপাশ সাদা। এতো ডলফিন এর আগে কখনও হত্যা করা হয়নি।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা ওশন কেয়ার বলেছে যে, শিকার উৎসবের নামে যেভাবে প্রাণী হত্যা করা হলো তা মানা যায় না। সব সীমারেখা তারা পার করে ফেলেছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের মানুষ প্রতিবছর এক হাজারের মতো সামুদ্রিক প্রাণী হত্যা করে থাকে। গতবছরও তারা ৩৫টি ডলফিন মেরেছিলেন। এই শিকারে অংশ গ্রহণ করেন বহু মানুষ। বিভিন্ন গোষ্ঠী নৌকায় করে ডলফিন এবং পাইলট তিমিকে তাড়িয়ে তীরের দিকে নিয়ে আসে। তারপর ছুরি দিয়ে প্রাণীটিকে হত্যা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আইনও রয়েছে। যদিও প্রাণীর মাংস এবং ব্লাডার স্থানীয় মানুষদের মাঝে বিলি করে দেওয়া হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।