দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান আমলে ফ্রিজ ছাড়া একদিনও চলে না। প্রতিদিন যে জিনিসটি ব্যবহার হয় সেটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের একান্ত দরকার। যেভাবে আপনার ফ্রিজটি পরিষ্কার রাখবেন সে বিষয়টি জেনে নিন।
ফ্রিজে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে মাছ ও মাংস সংরক্ষণ বেশি প্রয়োজন পড়ে। তাই ফ্রিজের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। জেনে রাখতে হবে ফ্রিজের যত্ন-আত্তির নিয়ম কানুনের বিষয়েও। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কি নিয়মে করবেন সেই বিষয়টি।
# ফ্রিজের কোনো কিছু করতে হলে প্রথমেই ফ্রিজের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিতে হবে। এতে খুব সহজেই ফ্রিজ থেকে বরফ আলাদা হবে। তখন কষ্ট করে বরফ তুলতে হবে না।
# আপনার ঘরের ফ্রিজ হতে সব জিনিসপত্র বের করে ফেলুন। এতে ফ্রিজ ধোয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। কাঁচা মাছ, মাংস বের করে একটি বালতিতে ঢাকনা দিয়ে ভালো করে ঢেকে রাখুন। এতে করে বরফ গলবে না, আবার খাবারও ভালো থাকবে।
# তারপর ফ্রিজের ভেতরের তাক, ড্রয়ারগুলো খুলে বাইরে রেখে দিতে হবে।
# এখন ফ্রিজের তাক, ড্রয়ারগুলো ডিটারজেন্ট মেশানো হালকা গরম পানিতে কিছুসময় ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর স্পঞ্জ দিয়ে ভালো করে দাগগুলো ঘষে পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। এখন একটি শুকনো তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন। শুকিয়ে গেলেই এটি আবারও ফ্রিজে ঢুকিয়ে ফেলুন।
# এখন ফ্রিজের ভেতরটা পরিষ্কার করার পালা। প্রথমেই একটি বোতলে ডিটারজেন্ট মেশানো পানি দিয়ে ভরে নিন। এবার এটি ফ্রিজের ভেতরে স্প্রে করতে থাকুন। তারপর একটি নরম স্পঞ্জ দিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিন। তারপর একটি ব্রাশ দিয়ে ফ্রিজের রাবারগুলো এবং কোণাগুলো ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
# আপনার ফ্রিজটি পরিষ্কার করা হয়ে গেলেই তাক, ড্রয়ারগুলো সঠিক জায়গায় আবারও বসিয়ে দিন। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে তাক, ড্রয়ারগুলো যেনো শুকনো থাকে। ভেজা অবস্থায় তাক, ড্রয়ারগুলো ফ্রিজের ভেতর কখনও রাখবেন না।
# ফ্রিজ থেকে বের করে রাখা শাকসবজি বা ফলমূল সবকিছুই ভালো মতো ধুয়ে ফ্রিজে রাখুন। তাহলে ফ্রিজে কোনো গন্ধ হবে না। পেঁয়াজ, রসুন, আদাবাটা ভুলেও কখনও খোলা অবস্থায় ফ্রিজে রাখবেন না, ঢাকনা দিয়ে ঢেকে তারপর রাখতে হবে।
# এবার একটি তোয়ালে ভিজিয়ে পুরো ফ্রিজটি মুছে নিন। এরপর তাক, ড্রয়ারগুলো ফ্রিজে যেভাবে ছিলো সেভাবে রাখুন।
# ফ্রিজ পরিষ্কার করা হয়ে গেলেই খাবার ফ্রিজের ভেতর তুলে রাখুন। তবে খাবারের প্রতিটা বক্স, প্যাকেট, বোতল কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে এরপর ফ্রিজে তুলে রাখুন।
# ফ্রিজে রাখার জন্য যে কোনো সবজি প্লাস্টিকের প্যাকেটে রাখার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকের প্যাকেটের মুখ ভালো মতো শক্ত করে বন্ধ করে নিন। এতে শাকসবজি ভালো এবং সেইসঙ্গে টাটকা থাকবে। কাঁচা মরিচের বোঁটা ফেলে দিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে মুখ বন্ধ করে তারপর ফ্রিজে রাখুন।
# বেশির ভাগ সময়ই ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, লেটুস পাতা ইত্যাদি ফ্রিজে রাখলে শুকিয়ে যায়। এই অবস্থা রোধ করতে পাতাগুলোর গোড়া কেটে এরপর ফ্রিজে রাখুন। তাহলে সহজে শুকাবে না।
# টমেটো ও শসা এক প্যাকেটে না রেখে পৃথক পৃথক প্যাকেটে রাখুন। ডিপ ফ্রিজে ফল বা তরকারি রাখা মোটেও উচিত নয়। কারণ হলো এতে করে স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।