দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্দরসজ্জা অর্থাৎ ঘর সাজানোর জন্য প্রয়োজন পড়ে নান্দনিকতা। নান্দনিকতার ছোঁয়া থাকলে সেই ঘর হয়ে উঠতে পারে প্রশান্তির স্থান।
তাছাড়া ঘর সাজানোটা নির্ভর করে মনের নিখাদ গভীর সম্পর্কের উপরেও। ঘরে বসবাসকারী অর্থাৎ দম্পতিদের জন্য অনেক কিছুই করার থাকে। ঘরকে সাজাতে যে অনেক কিছু করতে হয়, তা কিন্তু নয়। কিছু পরিকল্পনার মাধ্যমে নিজের থাকার ঘরটি সাজিয়ে প্রশান্তি আনতে পারেন যে কেও। তাহলে কীভাবে সাজাবেন আপনার ছোট্ট মায়াময় অন্দর মহলটি?
সংসারে দেয়ালের রং থেকে শুরু করে আসবাবপত্র; সবকিছুতেই লেগে থাকে যেনো নতুনত্বের ছোঁয়া। সীমিত জায়গায় ছোট্ট সংসারকে ছিমছামভাবে সাজানোর দিকেই মূল লক্ষ্য থাকতে হবে সকলের। অল্প ব্যয়ে মার্জিত করে সাজিয়ে নেওয়া যায় নিজের ফ্ল্যাট বা ছোট ঘরটি। কিভাবে পরিকল্পনামাফিক তা করা যায় সেটিই হলো দুজনের আর্থিক সামঞ্জস্যতা ও দুজনেরই রুচিবোধের এক মিশ্রণ।
বসার ঘরের দেওয়ালে বিভিন্ন পেইন্টিংস ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়াও তৈরি করতে পারেন ‘ফিচার ওয়াল’ বা ইলিউশন। তবে ইলিউশন ব্যবহারে কিছুটা সতর্কও হওয়া দরকার। কেনোনা সব ঘরে সব ধরনের ইলিউশন মানায়ও না। দেওয়ালে ভুল ইলিউশনের ব্যবহার মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। একটা দেয়াল একটু উজ্জ্বল রঙে রাঙিয়ে বা বিভিন্ন ধরনের রাফ টেক্সচার করে তাতে স্পটলাইটের ব্যবস্থা করে তাতে টাঙিয়ে রাখতে পারেন প্রিয় মুহূর্তের ছবিগুলো। তাতে অন্দরের সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে ঘরময় ছড়িয়ে থাকবে যেনো আরও ভালোবাসা।
আপনার অন্দর মহলের স্নিগ্ধতা আনতে পর্দাকেই সবার আগে বেছে নেওয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন উজ্জ্বল রংই ঘরকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করতে পারে। তাই উজ্জ্বল রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টে রাঙিয়ে তুলতে পারেন রুমগুলো। হলুদ, কমলা, লাল, সবুজ কিংবা কালচে লাল রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টও বেছে নিতে পারেন পর্দার ক্ষেত্রে। পর্দার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বসার ঘরের কুশন কভারও বানিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ফ্লোরাল প্রিন্টের মাধ্যমে। সোফার কভারের ক্ষেত্রে যদি ফ্লোরাল প্রিন্ট ব্যবহার করতে আপনি না চান তাহলে এক্ষেত্রে একটু গাঢ় রং বেছে নিতে হবে। তবে কুশন কভার ফ্লোরাল প্রিন্টের থাকলে সোফার কভার এক রঙের হলেই বেশি ভালো দেখাবে। আসলে রঙের স্বাচ্ছন্দ্য একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়ে থাকে।
আসবাবপত্র দিয়ে ঘর কানায় কানায় ভরিয়ে ফেলতে হবে তাও কিন্তু নয়! ঘর সাজাতে প্রতি রুমের আয়তন অনুযায়ী আসবাব কেনায় ভালো। দরকারের বেশি আসবাবে ঘর বোঝাই না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ঘর যতো ছোটই হোক না কেনো, অন্তত একটি-দু’টি গাছ রাখার চেষ্টাও করবেন। কারণ হলো গাছের সবুজ রং আপনাকে প্রশান্তি এনে দেবে।
দম্পতিরা চাইলে দেশজ কারুশিল্প দিয়েও সাজিয়ে নিতে পারেন ভালোবাসার ছোট্ট নীড়টি। অন্দরসজ্জায় দেশীয় সামগ্রীর ব্যবহারে অন্দর হয়ে উঠবে আরও বেশি আভিজাত্যের প্রতীক। এসব দেশীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে উর্বশী কাঠের আসবাব, বাঁশ, মুখোশ, পটারি, চিত্রকর্ম, ল্যাম্পশেড, শতরঞ্জি সহ আরও অনেক কিছু।
সংসার নতুন কিংবা পুরনো হোক, অন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই আপনি আপনার অন্দর যেভাবেই সাজান না কেনো, তা যেনো কোনোভাবেই আপনার স্বাচ্ছন্দ্যকে নষ্ট না করে দেয় সেদিকটি বিষেশভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।