দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনের নানা ব্যস্ততার পর বাসায় ফিরে রাতে প্রশান্তির ঘুমের আশা থাকে সবার। কিন্তু অনেকের আবার তা জোটে না। আজ জেনে নিন ঔষধ ছাড়াই প্রশান্তির ঘুম পেতে যা আপনাকে খেতে হবে।
সারাদিনের ধকল শেষে রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীর এবং মন দুইই ভালো থাকে না; ক্লান্তি এবং অবসান তখন ঘিরে ফেলে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সেটি আমাদের শরীরের শক্তি যেমন কমিয়ে দিতে পারে, আবার চাপও বাড়িয়ে দিতে পারে।
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য খাবার, ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কারণ ঘুমের ওপরে প্রভাব ফেলে আমাদের নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস। এক গবেষণা বলছে, সঠিক ঘুমের জন্য সেরা উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ।
ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আজকে রয়েছে কয়েকটি টিপস:
বাদাম: আখরোট ও বাদাম আমাদের ঘুম আরও গভীর করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদ ক্রিস্টিন গিলেস্পি বলেছেন, বাদাম মেলাটোনিন হরমোন সমৃদ্ধ ও এটি আমাদের ভালো ঘুম হতেও সহায়তা করে।
দুধ: ঘুম ভালো হতে সহায়তা করে দুধ। দুধ ট্রিপটোফান এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। ট্রিপটোফান হলো একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা শরীরের সেরোটোনিন উৎপাদনে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ঘুমের অবস্থার বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক গ্যান ইঞ্জসার্ন জানিয়েছেন, সেরোটোনিন ঘুমের চক্রের জন্যই দায়ী মেলাটোনিন নামে হরমোন তৈরি করে, যা আরও ভালো ঘুম হতেও সহায়তা করে থাকে।
কলা: আমাদের ভালো ঘুম হতে সহায়তা করতে পারে কলা। কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম, ট্রিপটোফান এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এমডি ও ফর্ম ইন ইনডিন মেডিকেলের প্রতিষ্ঠাতা ড. ক্রিস্টিন বিশারা বলেছেন, ম্যাগনেসিয়াম আমাদের পেসিগুলোকে সিথিল করতে সহায়তা করে থাকে, যা ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে।
তুলসী চা: চা মানেই অনেকেই ভাবেন, এটি হয়তো ঘুমবিরোধী একটি পানীয়। তবে জেনে অবাক হবেন, তাই তুলসী চা আপনার ভালো ঘুম হতে সহায়তা করতে পারে। তুলসী মানসিক চাপ কমাতে ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সাহায্য করার পাশাপাশি এটি অনিদ্রার জন্য দায়ী হরমোনকেও দূর করতে পারে।
পালং শাক: পালং শাকে ট্রিপটোফান উপাদানটি বেশি পরিমাণে থাকায় এটি আমাদের ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিংবা রাতের খাবারে পালং শাক রাখলে তা আপনার পরিপূর্ণ ঘুম বয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
ডিম: আমারা সবাই জানি যে, ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ডিমে প্রোটিনের পাশাপাশি মেলাটোনিন এবং ট্রিপটোফানও প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই দুটি উপাদান ঘুম ভালো হতেও সহায়তা করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।