দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনার পরিস্থিতি কিছুটা কমে আসার কারণে ভ্যাকসিন নেয়ার পর অনেকেই এক পা এক পা করে বের হচ্ছেন। সে কারণে এবার ইতালির একটি গ্রামে বেড়াতে গেলে পর্যটকদের ভাতা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বে ক্ষতি হচ্ছে পর্যটন শিল্পের। নিম্ন আয়ের মানুষজনের আয়-রোজগারও বন্ধ হয়ে যায়। অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অনেকেই। তারপরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। চলমান এই পরিস্থিতিতে গত জুলাই এ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় ইতালি। দেশটির একটি গ্রামে বেড়াতে গেলে পর্যটকদের ভাতা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। গ্রামটিতে ঘুরে বেড়ালেই পর্যটকদের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
ইতালির ক্যালাব্রিয়া প্রদেশ অনেক সুন্দর একটি প্রদেশ। দেশটির মতোই এই প্রদেশের গ্রামগুলোও খুব সুন্দর। যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা একটি গ্রাম। চারদিকে সবুজে ঘেরা এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। মাঝেই গ্রামের বাড়ি-ঘর। গ্রামকে ঘিরে পাহাড়, নদী ও জঙ্গল। গ্রামবাসীর জীবনযাত্রাও বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। অনায়াসেই গোটা গ্রাম পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানো যাবে।
ইতালি সরকারের পক্ষ হতে পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। টাকাও দেওয়া হবে। অর্থের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪৪ টাকা পর্যন্ত! তবে এতোগুলো টাকা পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই ক্যালাব্রিয়া প্রদেশের গ্রামে অন্তত তিনবছর বসবাস করতে হবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে গ্রামটির জনসংখ্যা নাকি অস্বাভাবিক হারে কমেছে। লোকমুখে গ্রামের নাম হয়েছে এখন ‘ঘুমন্ত গ্রাম’। সে কারণে গ্রামটিতে বাস করেন মাত্র দুই হাজারের মতো মানুষ। সে জন্যই এই সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চায় দেশটির সরকার। তাই পর্যটকদের অর্থ প্রদানের মাধ্যমে গ্রামটিতে বসবাস করার প্রস্তাব দিচ্ছে দেশটির সরকার।
কেবলমাত্র গ্রামে থাকার শর্তই নয়, সেখানে দেশটির বাইরে থেকে প্রবেশ করা পর্যটকদের ছোটখাটো ব্যবসা চালানোর জন্যও অনুমতি দিতে যাচ্ছে ইতালির সরকার। পর্যটকদের নতুন ব্যবসা হতে পারে, আবার পুরনো ব্যবসাকে নতুন অধিগ্রহণও করার সুযোগ রয়েছে এখানে। তবে সেখানে ব্যবসা করা আবশ্যিক। মূলত এই শর্তই প্রধান শর্ত।
তাছাড়াও পর্যটকদের বয়স অবশ্যই ৪০-এর কম হতে হবে। ক্যালাব্রিয়াতে থাকার জন্য আবেদন করার ঠিক ৯০ দিনের মধ্যেই সেখানে বসবাস শুরু করতে হবে। অর্থবানদেরই কেবলমাত্র এই গ্রামটিতে থাকার জন্য সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির সরকারের। প্রতিমাসে প্রায় ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় হতে পারে এখানে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।