দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের সব সময়ের অভিযোগ হলো, তারা পড়ালেখায় একেবারেই অমনোযোগী। কোনো কোনো মা-বাবা মনে করেন সন্তান পড়া মনে রাখতেই পারে না।
একটি জিনিস হলো সব শিশুর স্মৃতিশক্তি কিন্তু এক রকম হয় না। যাদের স্মৃতিশক্তি একটু দুর্বল, তাদের সেটি প্রখর করারও কিছু কৌশল রয়েছে। আজ জেনে নিন শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর করণীয় বিষয়গুলো:
# আপনার সন্তান বা শিশু যা শিখছে, সেগুলো দিয়ে তাকে ছড়া, গান তৈরি করতে শেখাতে পারেন। মানুষের মস্তিষ্ক মিউজিক এবং প্যাটার্ন মনে রাখতে পারে খুব দ্রুত। তাই মিউজিক কিংবা ছড়ার মাধ্যমে শিশুকে কিছু শেখালে সে খুব কম সময়ে সব কিছু মনে করতে পারবে।
# আপনার শিশুকে প্রশ্ন করতে শেখাতে হবে। যেনো আপনার শিশুর মধ্যে কোনো কিছু জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। যতো বেশি প্রশ্ন করবে, ততোই বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধিও করবে সে। যে কারণে শিশুর স্মৃতিশক্তি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
# শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হরে লাইব্রেরি এবং মিউজিয়ামে নিয়ে যান। তাকে কখনও এক জায়গায় বসিয়ে পড়াবেন না, বরং ঘুরতে ঘুরতে শেখানো ভালো। লাইব্রেরিতে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বই দেখাতে পারেন। মিউজিয়াম কিংবা আর্ট গ্যালারিতেও নিয়ে যেতে পারেন আপনার শিশুকে।
# বাবা-মা, বন্ধুবান্ধব এবং ভাইবোনের কাছ থেকে শিশু অনেক কিছুই শিখে থাকে, সে যা শিখছে সেগুলো সম্পর্কে আপনি আবার জানতে চান। আপনাকে বোঝানোর মাধ্যমে শিশুর স্মৃতিশক্তি আরও বেড়ে যাবে।
# বিভিন্ন বিষয়ে আপনি শিশুর সঙ্গে আলোচনাও করতে হবে। তারা কি ভাবছে তাও জানতে চান। এভাবে তাদের চিন্তাধারার যেমন উন্নতি ঘটবে, ঠিক তেমন স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পাবে।
# আপনার শিশুকে কোনো কিছু শেখানোর সময় ছবির ব্যবহার করুন। তাহলে শিশুর মনে রাখতে আরও সুবিধা হবে।
# আমরা সবাই জানি শরীরচর্চা শরীর এবং মন দুই-ই ভালো রাখতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন শরীরচর্চা করানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।