কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে বোঝার উপায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোলেস্টেরল সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি না। মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। এটি স্বাভাবিক অবস্থায় শরীরের জন্য উপকারী হলেও প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে গেলে দেখা দেয় অসঙ্গতি। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে বুঝবেন কীভাবে?

সে কারণে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর নজর রাখা প্রয়োজন। তবেই তো জানতে পারবেন কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কিনা।

কোলেস্টরলের কয়েকটি প্রাথমিক উপসর্গ রয়েছে। যেমন ঘুমের মধ্যে পায়ের পাতায় কিংবা আঙুলে হঠাৎ টান ধরা উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিতও হতে পারে। রাতে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, রাতে এমন কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা।

সাধারণত কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রভাব পড়ে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলিতে। এই সময় ফ্যাটের কারণে ধমনীগুলি সরু হয়ে যায় ও পায়ের নীচের অংশে রক্ত পৌঁছাতেও সমস্যা হয়। এতে করে পা ভারী হয়ে যায় ও একটু হাঁটলেই প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলেও পায়ের আঙুলের রঙে বদল আসতে পারে। এতে বদল আসতে পারে পায়ের নখের।

সমস্যার বিষয় হলো কোলেস্টেরলের মাত্রা যতোক্ষণ না মারাত্মক বেড়ে যাচ্ছে, ততোক্ষণ শরীরে কোনও বড় লক্ষণই দেখা যায় না। তাই এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেই আপনাকে সাবধান হতে হবে। তাছাড়াও মাঝেমধ্যে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর নজর রাখা একান্ত দরকার।

সে কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত কোলেস্টেরল তৈরি হয় যকৃত হতে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমে মূলত শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে এই পদার্থটি। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল।

শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে ও ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণ হয়ে গেলে, তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ কিংবা এলডিএল হয়ে যায়। তখন কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর হয়ে দাড়ায়। তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।