দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মশা নিয়ে টেনশনের শেষ নেই। বিশেষ করে বর্তমানে ডেঙ্গুর কারণে এই ভয় সবার মধ্যেই দেখা দিয়েছে। তাই আজ জেনে নিন রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর পদ্ধতি।
ঘরে মশার উৎপাত চলতেই থাকে। যে কারণে মশার যন্ত্রণায় মানুষ হয়ে ওঠে অতিষ্ঠ। ঘরে-বাইরে বাসা বা অফিস সব জায়গাতেই মশার প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও মশা বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করে, বিশেষ করে ডেঙ্গু হলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। আবার মশার কামড়ে জ্বরসহ এলার্জি সমস্যাও হয়।
তাই এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে আমরা অনেকেই ব্যবহার করি মশার কয়েল বা স্প্রে। তবে তাতেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না ইদানিং। মশা তাড়ানোর এসব ওষুধ শরীরের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব গন্ধযুক্ত ওষুধের কারণে হতে পারে শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের সমস্যা।
তবে এখন থেকে এই নিয়ে আর চিন্তা নয়, আপনি চাইলেই ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে পারবেন মশার উৎপাত। জেনে নিন মশা তাড়ানোর সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়সমূহ।
রসুনের গন্ধ হচ্ছে মশার চরম এক শত্রু। এই গন্ধ মশার কাছে খুবই অসহনীয় হয়ে ওঠে। তাই একটি পাত্রে পানি নিয়ে এর মধ্যে রসুনের কয়েকটি কোয়া ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটাতে হবে। তারপর সেই পানি সারা ঘরে ছিটিয়ে দিন। তাতেই মশা থাকবে বহু দূরে।
একটি পাত্রে কিংবা ফয়েল পেপারে অল্প পরিমাণ কফি বিছিয়ে এর ওপর জ্বলন্ত কয়লার ছোট ছোট টুকরো রেখে দিতে হবে। এই ধোঁয়া চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে মশা তো দূর হবেই সেইসঙ্গে বিদায় নেবে সব ধরণের পোকামাকড়।
মশার দৃষ্টিশক্তি রয়েছে। এরা বিশেষ কিছু রঙের প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়। মশা সাধারণত কালো, লাল ও নীল রঙ খুব বেশি পছন্দ করে থাকে। তাই এর উপদ্রব থেকে বাঁচতে হলে ঘরের মধ্যে এ ৩টি রঙের পোশাক, আসবাবপত্র কিংবা গৃহস্থালি পণ্য পরিহার করুন।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on অক্টোবর ২৮, ২০২১ 11:49 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দিন ধরে, নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া) এবং দ্বীপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা এমন একটি কৃত্রিম চিপ উদ্ভাবন…