দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের এতো সম্পদ থাকতে পারে? ঠিক তাই এবার ইলন মাস্কের সেই সম্পদের কথা উঠে এসেছে। বলা হয়েছে বিশ্বের খাদ্য সংকট মেটাতে লাগবে ইলন মাস্কের মাত্র ২ শতাংশ সম্পদ!
গত দুই বছরে করোনাকালে দেশে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। যে কারণে উপার্জনহীন ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যাও বিশ্বের জন্য বড় চিন্তার একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে এই মহামারির মধ্যে ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। বিশ্বের শীর্ষ ধনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলন মাস্কই তার জ্বলন্ত একটি উদাহরণ।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা এবং মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের নেতৃত্ব দেওয়া এই উদ্যোক্তা সম্পদের পাহাড় গড়ে বসে রয়েছেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ২৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলারেরও বেশি। এই সম্পদের মাত্র ২ ভাগ ব্যয় করলেই গোটা দুনিয়া হতে ক্ষুধার্ত মানুষের সমস্যার সমাধান করা যাবে!
‘কানেক্ট দ্য ওয়ার্ল্ড’ অনুষ্ঠানে গত মঙ্গলবার এমনটাই বললেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ডব্লিউএফপির পরিচালক ডেভিড বিসলে।
ওইদিন সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, বিশ্বের অতি ধনীরা যদি তাদের সম্পদের খুব সামান্য অংশ দান করেন, তাহলে বিশ্বের বহু মানুষের দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটানো সম্ভব। চাইলে অতিধনীদের কোনো একজনের একবারের দানেই পুরো বিশ্বজুড়ে অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা এসব মানুষ প্রাণে বাঁচতে পারে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ১ লাখ কোটি মাইলফলক ছাড়িয়েছে এই ধনকুবের ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা।
ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী দেখা যায়, টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সম্পদ বর্তমানে ২৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ তিনি তাঁর সম্পদের মাত্র ২ শতাংশ দান করলেই মিটবে বিশ্বের চরম এই খাদ্যসংকট।
করোনা ভাইরাস মহামারি শুরুর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতকোটি ডলারের মালিকদের সম্পদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
সাক্ষাৎকারে ডেভিড বিসলি আরও বলেন, ধনকুবেরদের এখনই,একবারের জন্য হলেও এগিয়ে আসা দরকার।
তিনি এই সময় মূলত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি টেসলার ইলন মাস্ক ও দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী আমাজনের জেফ বেজোসের কথাও উল্লেখ করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।