দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোভিড চিকিৎসায় ফাইজারের তৈরি মুখে খাওয়ার পিল মৃত্যুঝুঁকি কমায় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় চলে যাওয়া বয়স্কদের মৃত্যু হ্রাসে এই ওষুধ খুবই কার্যকর হবে। সেইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এড়াতেও এটি বেশ কাজ করবে। তাদের গবেষণায় পিলটি ৮৯ শতাংশ কার্যকরী বলেও প্রমাণ মিলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার বলছে যে, তাদের তৈরি কোভিড-১৯ এন্টিভাইরাল পিল রোগীর হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ কমাতে সক্ষম। মুখে গ্রহণের প্যাক্সলোভিড নামে এ ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই ফল পাওয়া যায়।
কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালবার্টা বলেছেন যে, “এই ওষুধটি রোগীর জীবন বাঁচানো, কোভিডে গুরুতর অসুস্থতা কমানো ও ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই হাসপাতালে ভর্তি ঠেকিয়ে দিতে কার্যকরী।”
প্রাথমিক ট্রায়ালে অনেক বেশি ইতিবাচক ফল আসার কারনে আগেভাগেই ট্রায়াল বন্ধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফাইজার।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এটিই কোভিডের একমাত্র মুখে খাওয়ার অনুমোদিত ওষুধ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।