দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি উইন্ডোজ ১১ এর স্টেবল ভার্সন উন্মুক্ত হয়েছে সারা বিশ্বে। প্রায় সব উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটারে এই আপডেট পৌঁছে গেছে ইতিমধ্যেই।
এই আপডেটে ভিজুয়্যাল পরিবর্তন যেমন হয়েছে ঠিক তেমনি যুক্ত হয়েছে একগুচ্ছ নতুন ফিচার। যারমধ্যে অন্যতম হলো উইন্ডোজ ১১ কম্পিউটারে এন্ড্রোয়েড অ্যাপ চালানোর সুবিধা।
যে কারণে উইন্ডোজ কম্পিউটারে যে কোনও গেম ডাউনলোড করে কি-বোর্ড এবং মাউসের মাধ্যমে তা খেলা যাবে। তবে এই ফিচারের জন্য উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম থাকা অবশ্য বাধ্যতামূলক নয়। উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটার ব্যবহার করেও যে কোনও এন্ড্রোয়েড অ্যাপ এবং গেম চালানো যাবে।
উইন্ডোজ ১১ কম্পিউটারে এই ফিচারটি ব্যবহারের জন্য কোনও এমুলেটর দরকার না হলেও উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটারে এন্ড্রোয়েড অ্যাপ চালানোর জন্য আবার পৃথক এমুলেটর ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে। চলুন উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটারের জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় এন্ড্রোয়েড এমুলেটর সম্পর্কে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
উইন্ডোজ ১০ প্ল্যাটফর্মের জন্য Bluestacks হচ্ছে জনপ্রিয়তম এন্ড্রোয়েড এমুলেটর। ইতিমধ্যেই ১০ বছর পূর্ণ করেছে এই অ্যাপটি। এই এমুলেটর ইনস্টল করে যে কোনও এন্ড্রোয়েড গেইম কম্পিউটার হতে মাউস এবং কি বোর্ডের মাধ্যমে খেলা যাবে। Battlegrounds Mobile India, Asphalt 9-এর মতো গেম খেলা ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম-এর মতো অ্যাপগুলি ব্যবহার করা যাবে কম্পিউটার হতেই।
যদি দেখেন যে আপনার কম্পিউটারে Bluestacks ধীরগতিতে চলছে, তাহলে ব্যবহার করতে পারেন নক্সপ্লেয়ার (NoxPlayer)। এই এমুলেটর ব্যবহার করেও উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটারে এন্ড্রোয়েড অ্যাপ ব্যবহার করা সম্ভব। সেইসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম এবং অ্যামাজন-এর মতো অ্যাপগুলি ব্যবহার করতে পারবেন অনায়াসে।
পূর্বের দুই এমুলেটরের মতো দক্ষ না হলেও Android Studio আপনার উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটারে দ্রুতই খুব চলবে। ডেভেলপারদের জন্যই এই এমুলেটর টুল তৈরি করেছে গুগল। তবে এই এমুলেটর ব্যবহার করে জেসচার সিমুলেশন, জাইরোস্কোপ সিমুলেশন, অ্যাক্সিলারোমিটারের মতো ফিচারগুলিও ব্যবহার করা সম্ভব। ডেভেলপাররা চাইলে নিজের তৈরি যে কোনও অ্যাপও এই এমুলেটর ব্যবহার করে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। তথ্যসূত্র : এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।