দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণভাবে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়ার প্রথম ধাপই হলো রূপচর্চা। সকলেই চান সবার সামনে নিজেকে পরিপাটি করে উপস্থাপন করতে। সেজন্য দরকার রূপচর্চা। এবার শোনা গেলো চকোলেট দিয়েও নাকি হতে পারে রূপচর্চা!
নিজেকে পরিপাটি করার জন্য আপনাকে কারিকারি টাকা খরচ করতে হবে না। এমনকি পার্লারে যাওয়ারও কোনো প্রয়োজন পড়বে না। বরং যে চকোলেট খাওয়া হয়, সেই সুস্বাদু চকোলেটই আপনার ত্বকের যত্নে সমান উপকারী হতে পারে।
এই চকোলেটে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালের মতো পলিফেনল। এর ভেতরে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। এটি আমাদের ত্বকে কোমলভাব বজায় রাখতে কাজ করে। চকোলেটে থাকা আরও অনেক উপকারী উপাদান খুব সহজেই ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। সেই সঙ্গে এটি মুক্তি দেয় বলিরেখা থেকে। খাওয়ার পাশাপাশি আপনি চাইলে রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন চকোলেট। এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে?
রূপচর্চার কাজে চকোলেট ব্যবহার করতে চাইলে বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন চকোলেটের ফেসপ্যাক। আপনি চাইলে বাজার থেকেও চকোলেটের ফেসপ্যাক কিনে আনতে পারবেন। তবে এর বদলে নিজেই যদি তৈরি করে নিতে পারেন তাহলে সেটি বেশিই ভালো হবে। কারণ বাড়িতে তৈরি যে কোনো কিছুই খুব বেশি উপকারী।
রূপচর্চার কাজে চকোলেটর ব্যবহার জেনে নিন:
চকোলেট ক্লিনজারের ব্যবহার: ডার্ক কোকো পাউডার এবং দুধের সঙ্গে যে কোনো ক্লিনজার ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চকোলেট ক্লিনজার। এই ক্লিনজার ব্যবহার করলে তা সেটি কোনো ত্বকেই উপকার বয়ে আনবে। এটি ব্যবহার করলে তা ত্বকের ভেতর থেকে ময়লাও পরিষ্কার করবে। যে কারণে ত্বক আরও বেশি কোমল এবং সতেজ হয়ে উঠবে।
চকোলেট-মুলতানি মাটির প্যাক ব্যবহার: যদি চকোলেটের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে আপনি ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে বেশি উপকার পাবেন। এতে করে খরচও খুব একটা হবে না। ফেসপ্যাকে কোকো পাউডার কিংবা চকোলেটের গুঁড়া থাকলে তা সেলুলার মেটাবলিক প্রক্রিয়াতে বলিরেখাও দূর করে। সেই সঙ্গে এটি ত্বকের ভেতরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতেও সাহায্য করে। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করলে দূর হয়ে যায় ত্বকের কালো দাগ। আর এভাবেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা।
একটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আর তা হলো চকোলেট দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক খুব বেশিদিন ফ্রিজে রাখা যাবে না। কারণ হলো ফ্রিজে চকোলেট রাখলে এর ওপর একটি সাদা আস্তরণ পড়ে যায়। এতে লোমকূপ বন্ধ হয়ে ব্রণসহ ত্বকের আরও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।