বাঁধাকপির যতো গুণ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাঁধাকপি শীতের সবজি হলেও বর্তমানে প্রায় সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। তবে শীতের সময় এটি দামও কম থাকে এবং বড় ও সুন্দর হয়। বাঁধাকপির যতো গুণ তা জানলে আপনি অবাক হবেন।

ফুলকপি বা বাঁধাকপি বর্তমানে আপনার হাতের কাছেই পাবেন। বাঁধাকপি শুধু যে খেতেই সুস্বাদু তা নয়, এর রয়েছে আরও নানা গুণাগুণ। বাঁধাকপিতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ, ডায়াটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে ও ভিটামিন ই সুস্থতার জন্য অপরিহার্য একটি জিনিস।

বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আজ জেনে নিন:

# এই বাঁধাকপিতে রয়েছে সালপোরফেন-এর মতো অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা শরীরে প্রদাহ কিংবা ইনফ্ল্যামেশনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ইনফ্ল্যামেশনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, ঠিক তেমনি ঝুঁকি বাড়ে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ক্ষেত্রেও। বাঁধাকপি ফাইবারে ভরপুর থাকে। যে কারণে এটি যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পারে, ঠিক তেমনি একাধিক পেটের রোগের সমস্যাও দূর করে এই বাঁধাকপি।

# বাঁধাকপিতে রয়েছে খুব কম মাত্রার ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট। যে কারণে এটি খেলে ওজন বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনাই নেই।

# কমপ্লিমেনটারি অ্যান্ড অলটারনেটিভ মেডিসিনে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, টানা ৬০ দিন বাঁধাকপি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসবে। সেই সঙ্গে রেনাল ফাংশনেরও উন্নতি ঘটবে এবং ওজন কমতেও শুরু করে।

# বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং হাইপার-গ্লাইসেমিক উপাদান, যা ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

# বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। এই সবকটি উপাদানই হাড়ের সুস্থতায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।

# বাঁধাকপি শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। আধা কাপ সেদ্ধ বাঁধাকপিতে যে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে, তা পুরো দিনের চাহিদার প্রায় ৪৭ শতাংশ পূরণ করতে পারে। এছাড়াও ভিটামিন কে -এর চাহিদা পূরণ করে প্রায় ১০০ শতাংশ।

# বাঁধাকপিতে থাকা ফোটোনিউট্রিয়েন্টস, যেমন পলিফেনল ও গ্লুকোসিনোলেট শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে হার্টের রোগের প্রকোপ যেমন কমায়, ঠিক তেমনি ক্যান্সার, অ্যালঝাইমারস ও ম্যাকিউলার ডিজেনারেশনের মতো রোগের সম্ভাবনাও দূর হয়।

# প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকায় নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকবে। সেইসঙ্গে নার্ভের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে। বাঁধাকপিতে আরও রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।