সমীক্ষার রিপোর্ট দেখে হতবাক সবাই: নারীরাই মত দিলেন বউ পেটানোর পক্ষে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাকে বলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা। এবার এমনই এক ঘটনার উদ্ভব হয়েছে। বউ পেটানোর বিষয়ে এক সমীক্ষায় এর পক্ষে মত দিয়েছেন ভারতের তেলঙ্গানার নারীরাই!

বৌ পেটানো কী আদতেও ঠিক? দেশটির সরকারি সমীক্ষায় এই প্রশ্নের উত্তরে তেলঙ্গানার ৮৩.৮ শতাংশ মহিলারা বলেছেন ঠিক! এ ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যে সমীক্ষায় ‘হ্যাঁ’-এর বিচারে তেলঙ্গানা যেমন রয়েছে শীর্ষে, তেমনই পুরুষদের মধ্যে সবার আগে রয়েছে দেশটির কর্নাটক।

আবার সেই দক্ষিণী রাজ্যের ৮১.৯ শতাংশ পুরুষই মনে করেন, স্বামী যদি স্ত্রীকে মারেন, তাতে কোনই দোষ নেই! ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ ১৩টি রাজ্যে এই সমীক্ষার আওতায় আসা মহিলারাই মনে করছেন যে, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করাটাই স্বামীর হাতে স্ত্রীর নিগ্রহের মূল কারণ।

২০১৯-২১ সালের মধ্যে এবারের সমীক্ষাটি করা হয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, বিহার, গুজরাত, হিমাচলপ্রদেশ, কেরালা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, তেলাঙ্গানা, ত্রিপুরা ও কেন্দ্রশাসিত জম্মু এবং কাশ্মীরে।

কেন্দ্রীয় সমীক্ষকরা প্রশ্ন রেখেছিলেন যে, স্বামী যদি স্ত্রীকে আঘাত করেন কিংবা মারধর করেন, তাহলে সেটি কী ঠিক?

সেই প্রশ্নের উত্তর বাছাই করে দেখা যায় যে, ‘হ্যাঁ’-এর শতকরা হিসেবে পুরুষদের মধ্যে কর্নাটক ও নারীদের মধ্যে তেলাঙ্গানা রয়েছেন শীর্ষে। দুই তালিকাতেই সবার শেষে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ। ওই রাজ্যের মাত্র ১৪ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ নারী মনে করেন কাজটা ঠিক।

নারীদের ‘হ্যাঁ’-এর তালিকায় বেশ উপরের দিকেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (৮৩.৬ শতাংশ), কর্নাটক (৭৬.৯ শতাংশ), মণিপুর (৬৫ .৯ শতাংশ) ও কেরালায় (৫২.৪ শতাংশ)।

অপরদিকে পুরুষদের মধ্যে সমীক্ষায় এক্ষেত্রে শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা (২১ দশমিক ৩ শতাংশ)। যারা বলেছেন, বউ পেটানো ঠিক, কোন কোন কারণে তা মনে করছেন? এক্ষেত্রে সমীক্ষকরা সম্ভাব্য ৭টি কারণের কথা জানতে পেরেছেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।