দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারা বিশ্বেই পরকীয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। এই অপরাধে অনেক নারী-পুরুষকেই পেতে হয় শাস্তিও। তবে এটির উল্টো চিত্র দেখা গেছে ভারতসহ পৃথিবীর বেশ কিছু স্থানে। সেখানে স্বামী বা স্ত্রীর পরকীয়া ঠেকাতে স্ত্রীকে অদলবদল করার রীতি বিদ্যমান!
উত্তর ভারতে সিন্ধু নদীর তীরবর্তী স্থানে বসবাস করেন দ্রোকপা নামে একটি উপজাতি। এরা হিমালয়ের আর্য হিসেবেও পরিচিত। সংখ্যায় ৩ হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি তারা। এরা মূলত আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সৈন্যদের বংশধর। এইসব উপজাতিদের সংস্কৃতি বেশ ভিন্ন। তারা সাধারণ সমাজের কোনো নিয়মই অনুসরণ করেন না। তারা একে অপরের প্রতি খুবই বন্ধুসুলভ এবং স্নেহশীল হয়ে থাকেন। স্ত্রী অদলবদলের রীতি তাদের কাছে খুবই সাধারণ একটি বিষয়।
অপরদিকে বিশ্বে এমন উপজাতি রয়েছে, যারা বাড়িতে কোনো মেহমান এলে তাদের আতিথীয়তার অংশ হিসেবে নিজের স্ত্রীকে তার সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ করে দেন। নামিবিয়ান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি হিম্বা উপজাতির মধ্যে এই ধরনের চল রয়েছে। লাল চামড়ার জাতি হিসেবে পরিচিত এই উপজাতি ‘ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু’ নামে এই রীতি অনুযায়ী দেখা যায়, একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অতিথির কাছে এক রাতের জন্য থাকার অনুমতি দিয়ে থাকেন। বেশিরভাগ স্ত্রীই স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে পরপুরুষের সঙ্গে রাত কাটান তারা। এতে সম্পর্ক ভালো থাকে এবং হিংসা দূর হয় বলে তাদের বদ্ধ ধারণা!
আবার বরফে বসবাসকারী এস্কিমো উপজাতির সদস্যরা চাইলেই স্ত্রী বদল করার মাধ্যমে অন্য পুরুষের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। আবার তার স্ত্রীও একই রকমভাবে অন্য পুরুষের সঙ্গে অবাধে যৌনমিলন করতে পারেন।
এমনকি এক পুরুষ এস্কিমোর বন্ধু বা ভাইয়েরা তার স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপনও করতে পারেন। এ ছাড়াও যখন কোনো নারীর স্বামী শহরের বাইরে কিংবা শিকারে দূরে যান তখন তিনি চাইলেই স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গেও যৌনমিলন করতে পারেন। এমনকি অন্য পুরুষের সন্তান গর্ভে ধারণ করাও বৈধতা রয়েছে এস্কিমো সমাজে।
এছাড়াও মালাউইতে বসবাসকারী চেওয়া গোত্রের মধ্যে অদ্ভুত কিছু রীতি বিদ্যমান রয়েছে। তারা বিশ্বাস করেন যে, খাবার যেমনভাগ করে খাওয়া যায়, ঠিক তেমনিভাবে স্ত্রীকেও ভাগ করা যায়! এই রীতি অনুযায়ী নিয়ম রয়েছে, প্রতি সপ্তাহেই এক বন্ধুর স্ত্রীকে অন্য বন্ধু এভাবে ভাগ করে নেন। তারপর তারা রাত কাটায়!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।