দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাঁচাও ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই অ্যাপসটি নিয়ে এসেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েরা ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
রাজধানীর গুলশানের নিজ এলাকায় বখাটের দ্বারা হেনস্থার শিকার হন তাবাসসুম মেহনাজ (ছদ্মনাম)। আশপাশে কেও না থাকায় তিনি চিৎকার করে সাহাঘ্যও চাইতে পারেননি। তবে তার সঙ্গে ছিল বাঁচাও অ্যাপ। নিজের মোবাইলে থাকা বাঁচাও অ্যাপে অ্যালার্ট বাটনে ক্লিক করার পরই ছুটে আসেন বান্ধবী, তার ছোট ভাই এবং আশপাশের মানুষজনও। পরে তাদের সহায়তা নিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার হন তিনি।
শুধু গুলশান বা বনানী নয়, দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে একজন নারী বাঁচাও অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে ধর্ষণ, উত্ত্যক্তকরণ হতে রক্ষা পেতে পারেন। সেজন্য প্রয়োজন মোবাইলের প্লে স্টোর থেকে ‘বাঁচাও’ অ্যাপটি ইনস্টল করে রাখা। কখনও বিপদে পড়লেই অ্যাপটির ‘রেপ অ্যালার্ট’ বাটনে ক্লিক করলে সেই বার্তা তাৎক্ষণাত পৌঁছে যাবে আশপাশে ‘বাঁচাও’ ইনস্টল করে রাখা মানুষের স্মার্টফোনে। অ্যালার্ট পেয়ে এক জন নারীকে যে কেও সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে পারবেন।
বাঁচাও ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই অ্যাপটি নিয়ে এসেছে। গত অক্টোবরের ২ তারিখ অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে এই পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষ সেটি ডাউনলোড করেছে। যারমধ্যে ৫৫ শতাংশই হলো ঢাকার বাসিন্দা। তারপরেই রয়েছেন চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। বাঁচাও ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো নারী যদি কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়েন, যা হয়তো ধর্ষণের ঘটনায় মোড় নিতে পারে, তখন এই অ্যাপটির মাধ্যমে তিনি সহায়তা চাইতে পারবেন অনায়াসে। নারীরা যাতে প্রয়োজনের সময়, বিশেষ করে ধর্ষণ থেকে নিজেদের রক্ষায় সহায়তা চাইতে পারেন, সেজন্য ‘বাঁচাও’ নামে অ্যাপটি তৈরি করা হয়। গত আগস্টে সীমিত আকারে অ্যাপটি চালু করা হয়। তারপর ২ অক্টোবর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় এই অ্যাপটি।
বাঁচাও ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বলেন, ‘৮০ শতাংশ ধর্ষণের ঘটনাই নারীটির আশপাশের কোনো স্থানে ঘটে থাকে এবং সেটা তার আবাসস্থল থেকে খুব বেশি দূরে হয় না। আমরা দেখেছি যে, একমাত্র সমাজের সবাই এগিয়ে এলেই ধর্ষণ ঠেকানো সম্ভব হবে, কারণ তারাই দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারেন।
এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন এমন একজন নারী একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অ্যাপটি নারীদের জন্য মূলত আশীর্বাদস্বরূপ। আমরা যখন কোনো আকস্মিক বিপদে পড়ে যাই, তখন আশপাশের অপরিচিত মানুষজন এগিয়ে আসতে চান না। কারণ তারা প্রয়োজনও মনে করে না। তবে এই অ্যাপটির মাধ্যমে আমি জানিয়ে দিতে পারি আমার সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, এক দিন ৮/১০ জন বখাটে আমার পিছু নিয়েছিল। আমার এখন মনে হয়, তখন যদি বাঁচাও অ্যাপ থাকতো!
ওই সংগঠনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা ২০২২ সালের জুলাই মাসের মধ্যে ধর্ষণের সংখ্যা দিনে ১৭ জন থেকে ৮ জনে নামিয়ে আনতে চাই। এটা ধর্ষণের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধ বলা যায়। আমরা ৬৪ জেলাতেই কাজ করে যাচ্ছি এবং দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছানোর চেষ্টাও করছি৷ ২০২২ সালের মধ্যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিশ্ব র্যাংকিংয়েও বাংলাদেশের অবস্থানকে আমরা ওপরে তুলে আনতে চাই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।