হৃদরোগ প্রতিরোধ ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ৩টি কাঁচা সব্জি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাঁচা আমই হোক কিংবা কাঁচা পেপেই হোক, স্বাস্থ্যরক্ষার গুণে পাকা ফল এবং সব্জির থেকে কোন অংশেই কম নয় কিছু কাঁচা ফল ও সব্জি। ৩টি কাঁচা সব্জি হৃদরোগ প্রতিরোধ ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা উঠলে মাথায় আসবে না তাদের কথা। এই ৩টি সব্জি বা ফল কাঁচা অবস্থাতেই করতে পারে স্বাস্থ্যরক্ষায় কাজ।

আজ জেনে নিন সেই ৩টি কাঁচা সব্জির কথা:

কাঁচা আম

পাকা আমে বাঙালির দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। তবে খাদ্যগুণে পাকা আমের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে আবার কাঁচা আম। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঁচা আম বৃদ্ধি করতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। লিভার ভালো রাখতে এবং পিত্তরস ক্ষরণ স্বাভাবিক রাখতেও এর জুড়ি নেই। গ্যাস অম্বলের সমস্যার সমাধান করতে পারে এই কাঁচা আম। শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে গরমকালে কাঁচা আমের শরবত খেয়ে থাকেন অনেকেই।

কাঁচা পেঁপে

কাঁচা পেঁপে আমরা শুধু মাত্র রোগির খাদ্য হিসেবেই মনে করি। অথচ এর যে গুণ রয়েছে তাতে সবার জন্যই এটি বড়ই উপকারী। কাঁচা পেঁপেতে থাকে প্রচুর ক্যারোটিনয়েড এবং একাধিক প্রয়োজনীয় উৎসেচক। কাঁচা পেঁপের কাইমোপ্যাপাইন এবং প্যাপাইন প্রোটিন ও শর্করার পরিপাকে সহায়তা করে থাকে। যে কারণে কাঁচা পেঁপে পরিপাক এবং বিপাকের উন্নতিতে খুবই উপযোগী একটি খাদ্য। আর্থারাইটিস, হাঁপানি এবং ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যেও অত্যন্ত উপযোগী এই কাঁচা পেঁপে।

কাঁচকলা

কাঁচকলাকে আমরা অনেকেই তাচ্ছিল্ল করি। কিন্তু এই কাঁচকলায় প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি সিক্স। তাছাড়াও কাঁচকলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। তবে কাঁচকলার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, এতে থাকে এক বিশেষ ধরনের শর্করা, যা কার্যত খাদ্যনালীর সঞ্জীবনী হিসেবে কাজ করে, এই ধরনের শর্করা পাচিত হতে অনেক বেশি সময় নিয়ে থাকে, বৃদ্ধি করে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও। সেইসঙ্গে কাঁচকলা স্নেহ পদার্থের শোষণ কমিয়ে ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।