দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কেয়ার স্টাফদের জন্য ভিসানীতি শিথিল করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। এর অর্থ হলো বাংলাদেশীসহ নতুন করে কেয়ার ওয়ার্কার আসার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে ব্রিটেনে।
এই ভিসার আওতায় বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে কেয়ার ওয়ার্কারদের জন্য শিক্ষা এবং কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে।
ব্রিটেনে করোনাকালীন কেয়ার ওয়ার্কার সংকট প্রকট হয়েছে। তাছাড়াও বেক্সিটের কারণে অনেক কর্মী চলেও গেছেন। ইতিমধ্যে ব্রিটেনে কেয়ার ওয়ার্কার, কেয়ার এসিসটেন্স ও হোম কেয়ার কর্মীদের জন্য অভিবাসন নিয়ম শিথিল করা হবে বলেও সরকারের পক্ষ হতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র দফতর হতে বলা হয়, কর্মীদের শূন্যতা পূরণের জন্য বিদেশ থেকে হাজার হাজার অতিরিক্ত কেয়ার ওয়ার্কার নিয়োগ দেওয়া হবে। কেয়ার কর্মীদের শূন্যতা তৈরি হচ্ছে ও টার্নওভারের সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ছাড়াও ওমিক্রনের কারণে কর্মীদের ওপর বাড়তি চাপও বাড়ছে।
নতুন এক গবেষণায় দেখা যায়, এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার কমে গেছে। গবেষকরা বলেছেন যে, স্টাফ সংকটের কারণে দুর্বল বয়ষ্ক ব্যক্তিদের কেয়ার হোমগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সে কারণে শূন্যতা পূরণ করার জন্য কেয়ার কর্মীদের হোম অফিসের ঘাটতি পেশার তালিকাতে যুক্ত করা হবে। তার অর্থ এই খাতে বাইরে থেকে কর্মী আনার তালিকা যুক্ত করা হবে।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা যায়, ব্রিটেনের বাইরে থেকে আসা কর্মীদের বছরে ২০ হাজার ৪৮০ পাউন্ড বেতনও দেওয়া হবে। কেয়ার ওয়ার্কার তাদের পরিবার অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তানসহ ব্রিটেনে আসার ভিসা পাবেন।
আরও বলা হয়, আগামী বছর যে কোনো সময় নতুন নিয়মগুলোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে যে, কেয়ার ওয়ার্কারদের ক্ষেত্রে মাত্র ১২ মাসের ভিসার সুযোগ থাকবে।
স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন যে, কেয়ার খাত করোনা মহামারির কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে এবং সরকার স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ভিসায় যে পরিবর্তন করছে তা কর্মশক্তিকে আরও শক্তিশালী করবে। বর্তমানে যে চাপের মধ্য দিয়ে সরকার যাচ্ছে তা অনেকটা দূর হবে।
সংবাদ মাধ্যমকে ন্যাশনাল কেয়ার ফোরামের চিফ এক্সিকিউটিভ ভিক রেনার বলেছেন, এই পদক্ষেপ নতুন বছরের জন্য আশার এক ঝলক। অতিরিক্ত দক্ষ কর্মী প্রয়োজন, যা নতুন এই নিয়মের বদৌলতে পাওয়া সম্ভব হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।