দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কম্পিউটার চালু না হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। নিয়মিতভাবে এই সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীদের। তবে যারা নতুন কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই সমস্যা বেশি অস্বস্থির। হঠাৎ কম্পিউটার চালু না হলে কী করবেন? জেনে নিন বিষয়টি।
এমন সমস্যার সম্মুখিন হলে বিক্রেতার শরণাপন্ন হয়ে অযথা পয়সা খরচ করতে হয়। তবে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুস্মরণ করে আপনি নিজে কম্পিউটার চালু করে নিতে পারেন খুব সহজে।
# পাওয়ার সুইচ অন করার পর সিস্টেমের ইন্টারনাল স্পিকারটি কয়টি আওয়াজ করলো সেটি খেয়াল করুন। যদি বিপ সংখ্যা এক হয় তার অর্থ হলো কম্পিউটার ডিসপ্লে আউটপুট পাচ্ছে না। বা কিবোর্ড মাদারবোর্ডের সঙ্গে ঠিকমতো সংযুক্ত না হলেও অনেক সময় এমনিটিহতে পারে।
# যদি দেখেন যে, একটি বড় বিপের পর দুটি ছোটে ছোট বিপ হলো তাহলে বুঝতে হবে র্যাম পাচ্ছে না আপনার মাদারবোর্ড। র্যাম পরিবর্তন কিংবা স্লট পরিবর্তন করে দেখুন।
# যদি একটি বড় বিপের পর ৩টি ছোট ছোট বিপ হয় তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চিতভাবেই ডিসপ্লে বা গ্রাফিক্স আউটপুটের সমস্যা হয়েছে।
# যদি একটা বড় বিপ তারপর চারটি ছোট ছোট বিপ হয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার মাদারবোর্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো হার্ডওয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা ঠিকমতো সেটি কাজ করছে না।
# কিন্তু এর জন্য আপনার পিসিতে ইন্টারনাল স্পীকার অবশ্যই থাকতে হবে। বেশিরভাগ মাদারবোর্ডে ইন্টারনাল স্পীকার বিল্ট-ইন থাকে। অন্যগুলাতে পৃথকভাবে লাগাবে হয়। সাধারণত কম্পিউটার কেনার সময় বিক্রেতাই এটি দিয়ে দেন তবে অনেকসময় ভুলে তা ঠিকমতো লাগানো নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার মাদারবোর্ডের বক্সে দেখুন স্পীকার পেয়েছেন কিনা। নইলে সময় করে বিক্রেতার কাছ থেকে অবশ্যই নিয়ে আসুন। বুঝতেই পারছেন কেনো আমি এটাকে এতোটা গুরুত্ব দিচ্ছি।
# এবার মনিটরের দিকে তাকান। এটি কি স্লিপ মোডে রয়েছে? অর্থাৎ এর লেড লাইট জ্বলছে নিভছে কিনা খেয়াল করুন। যদি তা না হয় অর্থাৎ লেড লাইট জ্বলেই থাকে ও মনিটরে কিছু না কিছু দেখা যায় তাহলে খুব ভালো কথা। আপনার মাদারবোর্ড এবং গ্রাফিক্স কার্ড ঠিকঠাক রয়েছে। অর্থাৎ বুঝতে হবে আপনার পিসির সমস্যাটা ছোটোখাটো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।