শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করতে করণীয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। শিশুদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগও বাড়ছে। এই সময় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করা জরুরি। এটি করতে করণীয় জেনে নিন।

এমন করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বার বার বলেছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কথা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিকভাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। দেখে নিন খুদেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত রাখতে কোন কোন খাবারগুলো খাওয়াতে হবে নিয়মিতভাবে।

# সন্তানকে পর্যাপ্ত পানি খাওয়াতে হবে। চঞ্চলতার মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত পানি পান করে না শিশুরা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার প্রথম সিঁড়িই হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান।

# শিশুকে খাওয়ান সবুজ শাক-সব্জি। খাওয়ার পাতে সবুজ রং দেখলেই দৌড়ে পালানোর অভ্যাস শিশুদের। তবে পালংশাক কিংবা লেটুস পাতার মতো খাদ্যে রয়েছে ফাইবার, আয়রণ, ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন সি এর মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা মজবুত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

# আপনার শিশুকে নিয়মিত ব্রকোলি খাওয়ান। ফাইবার এবং একাধিক খনিজ পদার্থে ভরপুর একটি সব্জি হলো এই ব্রকোলি। সংক্রমণ আটকাতেও এর জুড়ি নেই। আবার খেতেও খুব একটা মন্দ নয় ফুলকপির এই মাসতুতো ভাই ব্রকলি।

# একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, আর তা হলো সব্জি খেতে শিশুদের যতোই অনীহা থাক না কেনো, বাদাম খেতে মন্দ লাগে না শিশুদের। সন্তানকে কাঠবাদাম, পেস্তা, কাজু বা আখরোট খাওয়ান নিয়মিতভাবে। শিশুদের খাওয়ার প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলতে সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন কিশমিশ।

# খাওয়া-দাওয়ার পর এক টুকরো আমলকি নিয়মিত খাওয়ানোর চেষ্টা করুন সন্তানকে। আমলকির মতো স্বাস্থ্যকর ফল সত্যিই পাওয়া যাবে না। সাধারণ সর্দি-কাশি-গলা ব্যথা হতে পেটের গোলযোগও দেখা দিতে পারে। তাই ঘরোয়া টোটকার নিরিখে সবচেয়ে উপরে রয়েছে এই আমলকি। চিবিয়ে খেতে অসুবিধা হলে রস করে একবারে খেয়ে নিলেও পাওয়া যাবে সমান পুষ্টি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।