দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালের রুক্ষ শুষ্ক ত্বককে কোমল এবং মসৃণ করতে গ্লিসারিনের জুড়ি নেই। গ্লিসারিন ত্বককে আর্দ্র এবং প্রাণববন্ত করে। তবে শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি গ্লিসারিন চুলেরও খেয়াল রাখে।
চুলের জট ছাড়াতে যে সব প্রসাধনী বাজারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে সেগুলির মধ্যে ডিট্যাঙ্গলিং লিক্যুইড নামে একটি উপাদান থাকে। যার প্রধান উপাদান হিসাবেই থাকে গ্লিসারিন। সুতরাং চুল নরম এবং উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি চুলের নানা শীতকালীন সমস্যা প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী এই গ্লিসারিন।
কন্ডিশনার হিসাবেও গ্লিসারিন
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চুল স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। গ্লিসারিন চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। শ্যাম্পু করার পর বাজার চলতি কন্ডিশনারের পরিবর্তে চুলে লাগাতে পারেন এই কন্ডিশনারটি। লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসাবেও ভালো কাজ করে এই গ্লিসারিন। এটি ব্যবহারের পর চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারবেন চুল কতোটা নরম হয়ে গিয়েছে।
চুলের স্প্রে
একই সম পরিমাণে পানি এবং গ্লিসারিন এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে তহবে। হঠাৎ করেই চুল অত্যধিক শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে পড়লে পানি ও গ্লিসারিনের মিশ্রণটি এই স্প্রে করে নিতে পারেন চুলে, এতে উপকার পাবেন।
চুলের আগা ফাটা
শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চুলের আগা ফাটার সমস্যা প্রবলভাবে দেখা যায়। এই সমস্যা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন এই গ্লিসারিন। অল্প পরিমাণ গ্লিসারিন হাতে নিয়ে ভেজা চুলের ডগাতে লাগিয়ে নিন। এতে করে চুলের গো়ড়া শুকিয়ে গেলেও চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
খুশকির সমস্যা
বছরের অন্য ঋতুর তুলনায় শীতকালে খুশকির সমস্যা আরও প্রবল হয়। খুশকি প্রতিরোধে অস্ত্র হতে পারে এই গ্লিসারিন। অল্প পরিমাণে গ্লিসারিন হাতে নিয়ে হালকাভাবে মাথার ত্বকে মাসাজ করে নিন। তবে জোরে জোরে ঘষবেন না। কারণ হলো গ্লিসারিন চুলের গোড়া নরম করে দেয়। যে কারণে চুল পড়ার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।