দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা জানিয়েছেন, কামরাঙা ভিটামিন সি এর একটি দুর্দান্ত উৎস এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
শিল্পা শেট্টির স্বাস্থ্য সচেতনতা কতোটা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে যোগাভ্যাস ও সুসম খাদ্য সম্পর্কে অনুপ্রেরণামূলক হাজারও ভিডিও ও পোস্ট রয়েছে। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তাকে নিজের বাগান থেকে সরাসরি ফল তুলতে দেখা গেছে।
তিনি ওই ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, “সবাই জানে ফল তোলার প্রতি আমার কতোটা আগ্রহ। তাই আমিও নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না , গতকাল আমার বাগানের কিছু ফল তুলে আনলাম।
ভিডিওতে, অভিনেত্রীকে গাছ থেকে ফল তুলে সরল আনন্দ উপভোগ করতেও দেখা যায়। গাছ থেকে কয়েকটি কামরাঙা তুলে তিনি উৎসাহ সহকারে বললেন, ‘‘আমি এগুলি চাট মশলা কিংবা গোলাপি লবণ দিয়ে খাবো।’’
এই বলিউড তারকার মতে, যদি আপনি নিজের হাতে কোনও চারাগাছ রোপণ করেন ও সেটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে ফল দেয়, সে এক অদ্ভুত অনুভূতি। এই অনুভূতির কোনও তুলনায় হয় না।
তিনি আরও লিখেছেন যে, কামরাঙা ভিটামিন সি এর একটি দুর্দান্ত উৎস এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। গোলাপি লবণ দিয়ে খেলে এর স্বাদ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে যদি আপনার কোন কিডনি-সম্পর্কিত অসুস্থতা থাকে তবে দয়া করে এটি এড়িয়ে চলুন, সতর্কও করেছেন অভিনেত্রী।
# ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাইপারটেনশন ইত্যাদি আটকাতে কামরাঙার রস খুব উপকারী।
# কামরাঙা ভিটামিন বি৯ অর্থাৎ ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
# কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এই ফলটি।
# কামরাঙায় রয়েছে অ্যালাজিক অ্যসিড, এই উপাদান খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে।
# কামরাঙার পাতা এবং কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে থাকে।
# শীতের মৌসুমে সর্দিকাশি দূর করতেও দারুণ উপকারী এই কামরাঙা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও এই ফল খেতে পারেন আপনি।
# কামরাঙা চুল ও ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে।
# ব্রণের সমস্যা আটকাতে কামরাঙা উপকারী।
তবে এই ফলটি অর্থাৎ কামরাঙা খাওয়ার ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি কখনই করবেন না আর তা হলো:
# খালি পেটে কখনই কামরাঙা খাবেন না।
# ডায়রিয়া হলেও কামরাঙা খাওয়া চলবে না।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।