দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোটদের মনোযোগ বাড়াতে গান শেখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা করাও ভালো। খেলার ছলেই শিশুর বুদ্ধি বাড়াতে পারেন। কীভাবে?
আমরা সবাই চাই আমাদের সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং মেধাবি হোক। তাই শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি তার মগজাস্ত্রেও শান দেওয়া দরকার। সাধারণত ৫ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন এবং বিকাশ সম্পন্ন হয়ে থাকে। এই বয়সে কিছু সাধারণ পন্থা অবলম্বন করলে আপনার শিশুর বুদ্ধির বিকাশ খুব দ্রুত হতে পারে।
করোনা এই সময় শিশুদের শিক্ষার জন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের মতো বৈদ্যুতিক সামগ্রীর উপর নির্ভরতা আগের তুলনায় বহু গুণ বেড়েছে। অনলাইন ক্লাসই এখন ভরসা তাদের। এই ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতাও কমে যাচ্ছে। এমনটা হতে দেওয়া যাবে না। পড়ার বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই এবং ছড়ার বই পড়ার প্রতি তাদের উৎসাহী করে তুলুন। এমন কিছু উপায়ে তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। বুদ্ধিরও বিকাশ ঘটতে পারে।
যেমন সন্তানের সঙ্গে কথা বলার সময় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিও করতে পারেন। অনেক শিশুর মধ্যেই অঙ্গভঙ্গি নকল করার প্রবণতাও থাকে। এই উপায়ে শিশুদের স্মৃতিশক্তি ভালো হয় বলেই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবার শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সহায়তা করতে পারে গান। ছোটদের মনোযোগ বাড়াতেও গান শেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা করাও ভালো। এতে করে বুদ্ধিও বাড়ে, আবার মনও ভালো থাকে।
ছোট হতেই শিশুর খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন, যা শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে পারে। এই বয়সে শিশুদের পুষ্টিকর খাবারেরও প্রয়োজন। জাঙ্ক ফুড কিংবা প্রসেসড ফুড হতে শিশুদের যতোটা দূরে রাখতে পারবেন, ততোই ভালো। শিশুদের প্রতিদিন অল্প করে আমন্ড খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। আবার বাদাম খেলে শরীরে উপকারী ফ্যাটও যুক্ত হয়। স্মৃতিশক্তিও ভালো হয় এবং মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়ে। শিশুদের রান্নায় লবণ, চিনি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে আপনাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।