দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, শরীরচর্চা করার আগে প্লেটভর্তি করে খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। শক্তি পাওয়ার জন্য হালকা অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই উত্তম।
চা ও কফি পানের পর শরীরচর্চা করলে আরও বেশি ডিহাইড্রেটেড অনুভব করার সম্ভাবনা থেকে যায়।
প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করা যেমন জরুরি ঠিক তেমনই খাদ্যতালিকাতে কী রাখবেন সেটিও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার না থাকলে হাজার চেষ্টাতেও ওজন ঝরানো সম্ভব হবে না। শরীরচর্চার পূর্বে বা পরে কী খাবার খাওয়া উচিত, তা অনেকেই জানেন না।
নু বুঝেই অনেকেই ঘুম থেকে উঠেই কিছু না খেয়ে জিমে চলে যান। খালি পেটে ব্যায়াম করা একদমই ঠিক নয়। ওয়ার্কআউটের সময় অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়ে থাকে। তাই খালি পেটে শরীরচর্চা করলে ক্লান্তি ভাব দেখা দেবে। এতে করে আচমকা রক্তচাপ কমে যাওয়ার যেমন সম্ভাবনা থাকে, ঠিক তেমনি খালি পেটে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর চা বা কফি খেলে বেশ তরতাজা লাগে। চা-কফিতে থাকা ক্যাফিন খুব সাময়িকভাবে শক্তির যোগান দিতে পারে। এছাড়াও চা ও কফি দুটোই শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। চা ও কফি পানের পর শরীরচর্চা করলে আরও বেশি ডিহাইড্রেটেড অনুভব করার সম্ভাবনাও থাকে। যে কারণে মাথা ঘুরতে পারে। আবার পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে ও অতিরিক্ত ক্লান্তিও আসে৷
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শরীরচর্চা করার আগে প্লেটভর্তি করে খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ওয়ার্কআউটের পূর্বে শক্তি পাওয়ার জন্য হালকা অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই ভালো। তবে শরীরচর্চা করার ঠিক আগের মুহূর্তে খেলেও অস্বস্তি লাগতে পারে ও ঘুম ঘুম লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওয়ার্কআউটের ১৫ মিনিট আগে একটি ফল বা এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট খাওয়া যেতেই পারে৷ হালকা খাবার বা স্ন্যাকসের পর ৬০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপরই শরীরচর্চা করা ভালো। ভারি খাবার ঠিক মতো হজম হওয়ার জন্য অন্তত ৯০ মিনিট পর ওয়ার্কআউট করা উচিত। প্রি-ওয়ার্কআউট মিলের মতোই, শরীরচর্চার পরের খাবারও ঠিক মতোই খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খেলে পেশির মেরামতিতে আরও সাহায্য হয়, আবার শক্তিও আসে অনেকটা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।