দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অতিরিক্ত ক্লান্তি দৈনন্দিন কাজের চাপের প্রকাশ হিসেবেই দেখে থাকেন অধিকাংশ মানুষ। তবে এই ক্লান্তির মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে বিপদও। কী সেটি?
কর্মব্যস্ততা বর্তমানে এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে অনেক ক্ষেত্রে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার সুযোগই পান না অনেকেই। প্রত্যক্ষ কোনো উপসর্গ না থাকলে চিকিৎসকের কোনো পরামর্শও নেন না অনেকেই। তবে অনেকেই জানেন না যে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে পরিশ্রান্ত লাগা। অতিরিক্ত ক্লান্তি দৈনন্দিন কাজের চাপের প্রকাশ হিসেবেই দেখেন অনেকেই। তবে এই ক্লান্তির মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে বিপদও।
কী কী কারণে পরিশ্রান্ত লাগতে পারে ?
# পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাববে অতিরিক্ত পরিশ্রান্ত লাগতে পারে। শুধুমাত্র ঘুম হওয়াই যথেষ্ট নয়, সঠিক গভীরতার ঘুম না হলেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
# মানব শরীরে আয়রণ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ এবং ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি-র মতো বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতিও ডেকে আনে অনেক সময় ক্লান্তি। পৌষ্টিক উপাদানের ঘাটতিই ক্লান্তির অন্যতম মূল কারণ।
# রক্তাল্পতার একটি অন্যতম উপসর্গই হলো ক্লান্তি। তবে আয়রণের পরিমাণ সঠিক হলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হয়।
# মানসিক চাপও অনেক সময় ক্লান্তি ডেকে আনে। অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য উপেক্ষা করে থাকেন। তবে এই সমস্যা দীর্ঘ দিন থেকে গেলে হতে পারে বিপদও।
# শরীরে পানির ঘাটতি হলে বা কিডনির সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগতে পারে।
# অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে অল্প কাজেই হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকেই। অপুষ্টি যেমন অতিরিক্ত ক্লান্তি ডেকে আনে তেমনই উল্টোটাও সত্যি হতে পারে।
# ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রেও অন্যতম বড় একটি লক্ষণ হলো নিয়মিতভাবে ক্লান্ত লাগা। শরীরে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট হলই দেখা দিতে পারে এমন সমস্যা।
# সবার শেষে রয়েছে ক্যান্সারের কথা। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক উপসর্গ হলো এই অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।