কান্না করা বারণ: বাবা-ছেলের ১০০ টাকার অভিনব চুক্তি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শৈশব কাল হচ্ছে এক দুরন্তপনার বয়স। বড়রা যাই বলুক না কেনো, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার বা গুরুত্ব দেওয়ার ফুসরত থাকে না।

আজকের দিনে নিউক্লিয়ার পরিবারের মা-বাবারা চট করে সন্তানের গায়ে হাত তুলতে মোটেও চান না। যে কারণে সন্তানকে সামলাতে গিয়ে খুব বেগ হতে হয় তাদেরকে। সেজন্য সন্তানের সঙ্গে নানা রকম ট্রিক ব্যবহার শুরু করেছেন তারা।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পিতা-পুত্রের এমন এক অভিনব চুক্তিপত্র সামনে আসতেই সেই ছবি যেনো একেবারে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।

এই চুক্তি হয়েছে ৬ বছরের এক পুচকের সঙ্গে তারই বাবার। ওই চুক্তি অনুযায়ী, দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলা এবং কান্নাকাটি, হল্লাহাটি না করার সাপ্তাহিক পুরস্কার হিসেবে ১০০ টাকা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন আবির নামে শিশুটির বাবা!

আর ওই রুটিনে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সারাদিনের কর্মসূচি। সকাল ৮টায় ঘুম হতে ওঠা। তার ঠিক ১০ মিনিট আগে অ্যালার্ম দেওয়া থাকবে। তারপর ব্রাশ করা, গোসল করা থেকে থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া- সব কিছুর জন্য় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সূচি। টিভিও দেখা যাবে কেবল মাত্র খাওয়ার সময়। তাছাড়াও রয়েছে কান্না, চিৎকার করা এবং গজগজ না করার শর্তও! সব কিছু মেনে চললে পাওয়া যাবে দৈনিক ১০ টাকা এবং সাপ্তাহিক ১০০ টাকা পুরস্কার!

ছেলেকে এই পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে তার বাবা আরেক পোস্টে জানান, প্রথমে তিনি স্টার এবং পয়েন্ট সিস্টেম চালু করেন। তবে পরে দেখা গিয়েছে, ছোট্ট আবির সারা দিন দুষ্টুমি করলেও স্টার বা পয়েন্ট বেশি পাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে । সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

ভাইরাল হওয়া এই অভিনব চুক্তিপত্র দেখে অনেকেই মজাও পেয়েছেন। আবার অনেকেই সমালোচনাও করেছেন। এইটুকু ছেলেকে এভাবে টাকার টোপ দিয়ে কাজ করানোর নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তথ্যসূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।