দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিয়মিতভাবে যারা মাছ-মাংস খেয়ে থাকেন, তাদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে গাঁটের ব্যথাও বাড়বে অনিবার্যভাবে।
অত্যাধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অধিকাংশ চিকিৎসকরা মনে করেন, যারা নিয়মিতভাবে মাছ-মাংস খেয়ে থাকেন, তাদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। অত্যাধিক মদ্যপানও ইউরিক অ্যাসিডের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন বিশেজ্ঞরা। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তখন গাঁটের ব্যথা অনিবার্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মূলত হাড় এবং কিডনির উপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। খাওয়া-দাওয়ায় একটু হ্রাস টানলেই এই সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। তবে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকের তেমন কোনও ধারণাই নেই। তাই কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে।
# শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লে বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ কিডনি তখন চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বের করে দিতে। তবে বার বার প্রস্রাব ছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডে মাত্রা বেড়ে গেলে বেশি প্রস্রাব থেকে বেরুতে পারে রক্তও। এ ছাড়াও হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনও।
# সাধারণত ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকের জ্বালা করে। এই জ্বালা এতোটা বেশি হয় যে মানুষটির প্রস্রাব আসলেও অনেক সময় করতেই চান না। যে কারণে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। তাই আপনার সঙ্গেও এমনটা ঘটলে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
# ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কফি, কোল্ড ড্রিংকস, মদ খাওয়া মোটেও চলবে না। ধূমপানও করা যাবে না। পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, ঢ্যাঁড়স, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো সব্জি না খাওয়াই ভালো। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছও এড়িয়ে চলায় ভালো। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য খুব একটা ভালো নয়।
আবার অনেক সময় ওজন বেশি থাকলেও এই রোগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সঠিক ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চা করাও জরুরি। তবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি পরিমাণে বেড়ে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সে ক্ষেত্রে তখন আপনাকে ওষুধের উপরেই নির্ভর করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২ 12:18 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না। কোন ভিটামিন কিংবা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আল্লু অর্জুন অভিনীত বলিউডের বহুল আলোচিত তেলেগু সিনেমা ‘পুষ্পা’। কিছুদিন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখা যায় একটি মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গাড়ি করে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৯ কার্তিক ১৪৩১…