দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেই ১৯২৪ সালের জুন মাসে সুররিয়ালিস্ট ম্যাগাজিন “লিটারেচার”-এ প্রথম প্রকাশিত এই ছবিটি ম্যান রে-র নিজের ক্যারিয়ারের তো বটেই, সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরাবাস্তববাদী ছবির একটিতে পরিণত হয়।
বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় ফটোগ্রাফ “লে ভায়োলন ডি’ইনগ্রেস”। এবার নিলামে বিক্রিত সর্বকালের সবচেয়ে দামি আলোকচিত্রেও পরিণত হতে পারে এই ছবিটি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামী মে মাসে যখন অকশন হাউজ ক্রিস্টিজে নিলামে তোলা হবে, তখন ম্যান রে-র এই বিখ্যাত কাজটিকে, এর দাম উঠবে ৫ থেকে ৭ মিলিয়ন ডলার। যদি সত্যিই তা-ই হয়, তাহলে নিলামের ইতিহাসে কোনো একটি একক আলোকচিত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি বিক্রয়মূল্য হবে এই ছবিটি।
মার্কিন পরাবাস্তববাদী শিল্পী ম্যান রে সাদা-কালো ছবিটি তুলেছিলেন ১৯২৪ সালে। সেখানে পেছন থেকে একজন নারীর খোলা পিঠ দেখা যায়। তার পিঠের দুইদিকে থাকে দুটি এফ-হোল। এভাবেই একজন নারীর শরীরকে বেহালায় রূপান্তর করেন ওই শিল্পী।
ফটোগ্রাফটির নামকরণ করা হয়েছে একটি বিখ্যাত ফরাসি অভিব্যক্তি “লে ভায়োলন ডি’ইনগ্রেস” থেকে, যার অর্থ হলো “একটি শখ”। এই অভিব্যক্তিতে ফরাসি নিওক্লাসিকাল চিত্রশিল্পী জাঁ অগাস্টে ডোমিনিক ইংগ্রেসের রেফারেন্সও টানা হয়েছে, যিনি অবসর সময় বেহালা বাজাতেই পছন্দ করতেন।
ম্যান রে ইংগ্রেসের চিত্রকর্মের বড় একজন ভক্ত ছিলেন। এই ছবিটি তোলায় তিনি “দ্য ভালপিনকন বাথার” (১৮০৮) ছবিটি থেকে অনুপ্রেরণাও নিয়েছিলেন। ছবিটিতে পোজ দিয়েছিলেন তারই তৎকালীন প্রেমিকা এবং মডেল কিকি দে মন্তপারনাস।
১৯২৪ সালের জুন মাসে সুররিয়ালিস্ট ম্যাগাজিন “লিটারেচার”-এ প্রথম প্রকাশিত এই ছবিটি ম্যান রে-র নিজের ক্যারিয়ারের তো বটেই, সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরাবাস্তববাদী ছবিরও একটিতে পরিণত হয়েছে।
ম্যান রে-র পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল এমানুয়েল র্যাডনিজকি। ১৮৯০ সালে জন্ম নেওয়া এই গুণী শিল্পী জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন প্যারিসে। তিনি ছিলেন দাদাবাদ এবং পরাবাস্তববাদী আন্দোলনের অন্যতম একজন পথিকৃৎ।
ক্রিস্টিজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ১৯৬২ সালে নিউ ইয়র্কের এক দম্পতির স্বয়ং রে-র কাছ থেকে ফটোগ্রাফটি সংগ্রহ করেছিলেন। নিলামে এই মাস্টারপিসটি ছাড়াও বহুদিন ধরে এই দম্পতিটির সংগৃহীত আরও অনেক আর্টওয়ার্ক, ফটোগ্রাম, গহনা এবং পোস্টারও বিক্রির জন্য তোলা হবে।
নিউ ইয়র্কের সেই দম্পতিদের কেওই অবশ্য বর্তমানে বেঁচে নেই। স্যাকস ফিফথ এভিনিউর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং সিইও জেকবস ১৯৯৩ সালে ৬৭ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন। এদিকে তার স্ত্রী রোজালিন্ড গার্স্টেন জেকবস ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে মেসিজের নির্বাহী। ২০১৯ সালে ৯৪ বছর বয়সে তার মৃত্যু ঘটে। এই সংগ্রহগুলো নিলামে তুলতে যাচ্ছেন তাদেরই মেয়ে পেগি জেকবস বেডার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।