দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই বিয়ের বেনারসি শাড়ি বছরের পর বছর হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখেন। তবে এর ফলে শাড়ির সুতো কেটে শাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। বিশেষ এই শাড়ির যত্ন নেওয়ার কিছু পরামর্শ রয়েছে এই প্রতিবেদনে।
বাঙালি কনেরা বিয়েতে সাধারণত বেনারসি পরতেই বেশি ভালবাসেন। তবে বিয়ে মিটলেই সাধের বিশেষ সেই বেনারসি আলমারিতেই পড়ে থাকে। কখনও আর বের করা হয় না। যে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, যত্নের অভাবে শাড়িটি ভাঁজে ভাঁজে কেটে যায়। তখন আক্ষেপের আর শেষ থাকে না।
সে কারণে বিয়ের পরে যাতে আপনার সাধের শাড়ি যত্নে থাকে, তারজন্য রইলো কিছু পরামর্শ।
# বেনারসি শাড়ি কখনও ভুল করেও বাড়িতে কাচবেন না। বেনারসি কাচার জন্য সব সময় স্থানীয় কোনও ভালো দোকানে ড্রাই ক্লিনিং করাতে দিন। এতে করে শাড়ির মান এবং জেল্লা, দুই-ই বজায় থাকবে যথারিতি।
# অনেকেই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হলে বছরের পর বছর ধরে বেনারসি শাড়ি হ্যাঙারেই ঝুলিয়ে রাখেন। তবে এর ফলে শাড়ির সুতো কেটে শাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। কোনও সুতির কাপড়ে বেনারসি মুড়ে, সেটি আলমারিতে তুলে রাখুন। শাড়ি বেশ ভালো থাকবে।
# কখনও কড়া রোদে বেনারসি ঝুলিয়ে রাখবেন না। বেনারসি সিল্ক সুতোয় বোনা হয়ে থাকে। তাই উজ্জ্বল রঙের হয়। সে কারণেই কড়া রোদে দিলে কাপড় এবং রং দু’টিই নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
# বাড়িতে বেনারসি ইস্তিরি না করাই ভালো। একান্তই যদি বেনারসি শাড়ি ইস্তিরি করতেই হয়, তবে একটি সুতির কাপড়ে বা ধুতিতে ভালো করে শাড়িটি মুড়িয়ে নিয়ে তার পর ইস্তিরি করুন।
# বিয়ের শাড়ি কখনও দীর্ঘদিন আসমারিতে ভরে রাখবেন না। প্রতি ৬ মাস অন্তর শাড়িটি আলমারি থেকে বের করুন। সেটি খুলে আবার ভাঁজ বদলে, তারপর সেটি গুছিয়ে রেখে দিন। এতে শাড়ি অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
# বেনারসি শাড়িতে যদি কখনও দাগ লেগে যায়, তাহলে তুলোয় সামান্য নেলপলিশ রিমুভার নিয়ে দাগের উপর আলতো করে ঘষুন। তখন দেখবেন দাগ উঠে যাবে। এ ক্ষেত্রে ভুলেও পানি ব্যবহার করবেন না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।