হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আছে কি না কীভাবে জানবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধমনীতে বাধার কারণে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। মূলত সেই কারণেই হৃদরোগের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। সেটি জানবেন কীভাবে?

সাম্প্রতিক সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই মনে করেন, বয়সের সঙ্গে বোধহয় হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা সেই ধারণাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কয়েক মাস পূর্বেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার।

কয়েক সপ্তাহ আগেই বলিউডের কৌতুকশিল্পী ও অভিনেতা সুনীল গ্রোভারও আক্রান্ত হন হৃদরোগে। অস্ত্রোপচারের পর অবশ্য তিনি এখন সুস্থতার দিকে।

সাধারণত ধমনীতে বাধার কারণে যখন হৃদযন্ত্রের রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়, মূলত তখনই হৃদযন্ত্রের এই সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। যদি কেও উচ্চ কোলেস্টেরল কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন, তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেতে পারে।

ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের জন্য যেমন রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনই আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন কিনা তার পূর্বাভাসও আপনি পেতে পারেন অনেক আগে থেকেই।

কী ভাবে সেটি সম্ভব?

# সিআরপি (সি-রিঅ্যাকশন প্রোটিন) পরীক্ষার দ্বারা। লন্ডনের ‘ন্যাশনাল হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউট’-এর বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন। ‘সিআরপি’ মূলত এক ধরনের প্রোটিন। সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের পর রক্তে যার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মূলত রক্তে এই প্রোটিন বৃদ্ধি পেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। তাই এই ‘সিআরপি’ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় বছর তিনেক আগে থেকে জেনে নেওয়া সম্ভব যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না। সম্ভাবনা থাকলেও তা কতোটা।

‘সিআরপি’-এর মাত্রা সাধারণত ২ মিলিগ্রাম কিংবা তার নীচে থাকায় স্বাভাবিক। তবে এর মাত্রা যদি ১০-১৫ মিলিগ্রাম হয়ে থাকে, তাহলে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।

‘সিআরপি’ ছাড়াও আরও একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় বছর খানেক আগে থেকেই বুঝতে পারবেন যে, পরবর্তীতে হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কি না।

# শরীরের প্রায় অনেক রোগেরই পূর্ব লক্ষণ দেখা দেয় সাধারণ চোখে। হৃদরোগের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়না। চোখে রেটিনার চরিত্র, আচার-আচরণ দেখে অনেক পূর্বেই হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস পাওয়া গিয়ে থাকে। এই অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে গুগলের ৮ সদস্যের এক গবেষক দল। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা বোঝার প্রাথমিক উপায় হিসাবে চিকিৎসকরা বহু দিন যাবত রেটিনা পরীক্ষা করে আসছেন। রেটিনার ধমনীতে একটু বদল চোখে পড়লে তা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস দেখা যেতে পারে। তা ছাড়াও কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিকভাবে রেটিনা পরীক্ষার চল বিদ্যমান। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।