দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকায় রয়েছে ওয়াশিং মেশিন। তবে কিছু সহজ নিয়ম না মানলে বেশ বিপত্তিও ঘটতে পারে। যেমন কাপড় নষ্ট হয়ে যাওয়া। আজ জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু টিপস।
বর্তমানে সংসারে নিত্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির মধ্যে ওয়াশিং মেশিন গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যে সংসারের কাজের সময় কমানোর জন্য ওয়াশিং মেশিন বর্তমানে ঘরে ঘরে মজুত। চটজলদি প্রচুর কাপড় কাচা ও তা অনেকটাই শুকিয়ে ফেলার জন্য দারুণ কাজ দেয় ওয়াশিং মেশিন। শুধু পোশাকই নয়, বিছানার চাদর কিংবা পর্দার মতো ভারি কাপড় কাচতে সাহায্য করে থাকে এই ওয়াশিং মেশিন। তবে এই যন্ত্র ব্যবহার করার আগে কিছু নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। না হলে হবে মুশকিল। সঠিক পদ্ধতি না জানা থাকলে অনেক সাধের ভালো পোশাকও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পরের বার মেশিন ব্যবহার করার আগে জেনে নিন কিছু নিয়ম কানুন।
# ইতিমধ্যেই শীত বিদায় নিয়েছে। অনেকেই বর্তমানে শীতের পোশাক ধুয়ে গুছিয়ে তুলে রাখবেন। মেশিনে কাচলে শুধু ‘ওয়াশ’ ও ‘রিন্স’ ফাংশনটি ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ কেচে নিন, শুকোনোর পদ্ধতি অবধি যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। উলের কাপড় ধোয়ার পর রোদে মাটিতে পেতে শুকিয়ে নিতে পারলে বেশি ভালো থাকবে।
# আপনার শখের পোশাক মেশিনে কেচে কী ছোট হয়ে গিয়েছে? এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ঈষদুষ্ণ পানিতে অল্প শিশুদের শ্যাম্পু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।
# রঙিন কাপড় ধোয়ার সময় এক চা চামচ লবণ ঢেলে দিন। তাতে করে রং ফিকে হবে না। রঙিন পোশাক সব সময় উল্টো করে তারপর মেশিনে দিন।
# কখনও খুব বেশি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। কারণ পোশাক পরিষ্কার হতে সমস্যা হয়।
# মাঝে-মধ্যে মেশিন পরিষ্কার না করলে মেশিনও আপনার পোশাক ঠিকমতো পরিষ্কার করবে না। তাই মাসে একবার এক বিশেষ ধরনের ডিটারজেন্ট দিয়ে একটি গোটা সাইকেল ঘুরিয়ে নিতে হবে। এই ধরনের ডিটারজেন্ট ওয়াশিং মেশিনের সঙ্গেই কিনতে পাওয়া যায়।
# আপনার পর্দায় কী ধাতব রিং লাগানো রয়েছে? মেশিনে দিলে এগুলো ভেঙে কিংবা খুলে আসে। তাই মেশিনে দেওয়ার আগে একটি রুমাল সবগুলো রিঙ্গের মধ্যেদিয়ে গলিয়ে বেঁধে দিন। আর ওয়াশ সাইকেল ‘জেন্টল’এ রাখুন।
# শুধুমাত্র জিন্স কিংবা কৃত্রিমভাবে তৈরি কাপড়ের পোশাক ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করুন। বাকি সব পোশাক, বিশেষ করে গাঢ় রঙের পোশাক কিংবা সুতির পোশাক ঠাণ্ডা পানিতেই ধুয়ে নিন। না হলে রং উঠে পোশাক ছোট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।