দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু ভাইরাল হতে সময় লাগে না। যে কোনো ঘটনাই নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। এবার এক বেলুন বিক্রেতা থেকে কিভাবে জনপ্রিয় মডেল হলেন সেই কাহিনী ছড়িয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি ভারতের কেরালারঅলি-গলিতে ঘুরে ঘুরে বেলুন বিক্রি করা সাধারণ তরুণী রাতারাতি হয়ে গেলেন সুন্দরী এক মডেল। অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হয়ে জীবনের তাগিদে অল্প বয়সেই রুটি-রুজির সন্ধানে বের হওয়া কিসবু নামে সেই তরুণী এখন ইন্টারনেট সেনসেশন। কিসবুর মডেল হয়ে ওঠা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম।
সাদা শাড়ি, লাল ব্লাউজের সঙ্গে মানানসই সাজ-গোজ। দেখে মনে হবে পুরোদস্তুর একজন মডেল তিনি। তার হাসি চোখে লেগে থাকার মতো। আদতে এই কিশোরী পেশায় একজন বেলুন বিক্রেতা। এই কাজ করেই তার সংসার চলে। মা ও কিসবো এই তাদের পরিবার। ভারতীয় গনমাধ্যমে বলা হয়, খুব কম বয়সেই বাবাকে হারিয়েছে কিসবু। তারপর হতে তার মা কাঞ্চন বেলুন বিক্রি করে সংসার চালাতেন। মাকে সাহায্য করার জন্য নিজেও বেলুন বিক্রি শুরু করে কিসবু। বিভিন্ন পাড়া ্র মেলায় ঘুরে মায়ের সঙ্গে বেলুন বিক্রি করতো সে।
তেমনই কেরেলার কুন্নুরে একটি মেলায় যায় কিসবু। ওই মেলাতে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছিলেন এক ফোটোগ্রাফার। তখন তার ক্যামেরায় ধরা পড়ে কিসবু। ভাইরাল হওয়া পাকিস্তানি কিশোরী যে তার অদ্ভুত চাহনি ও হাসিতে নেটাগরিকদের মন জয় করেছে, কুন্নুরের মেলায় আসা ফটোগ্রাফারও কিসবু-র চাহনি একটা সৌন্দর্য খুঁজে পান। তারপরই কিসবুর মায়ের কাছে ওই ফটোগ্রাফার যান ও তার অনুমতি নিয়ে তার একটা ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। নেটমাধ্যমে সেই ছবি শেয়ার করতেই ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়।
এখান থেকেই কিসবুর জীবনের মোড় ঘোরার কাহিনী শুরু হয়। ‘সুন্দীর বেলুন বিক্রেতা’ এই নামে নেটমাধ্যমে কিসবুর ছবি নিয়ে যখন বিপুল আলোচনা শুরু হয়, তখন তার ‘মেকআপ’-এর জন্য এগিয়ে আসে কুন্নুরেরই একটি বিউটি পার্লার। খোঁজ নিয়ে কিসবু এবং তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিউটি পার্লারের মালিক। কিসবুর ‘মেকআপ’-এর ব্যবস্থাও করেন। একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার এনে তার ছবি তোলান। সেই ‘মেকআপ’-এর ছবিই এখন নেটাগরিকদের মন কাড়ছে সকলের। রাতারাতি এক বেলুন বিক্রেতা কিশোরী এখন তারকা বনে গেছেন।
কিসবুর পাশে দাঁড়ানোর জন্য জনসাধারণের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তারই মা। কিসবুর আরও ভালো ভবিষ্যতের জন্য সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। কাঞ্চন বলেছেন, “আমার মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করতে চাই। ও যেনো স্বনির্ভর হতে পারে। ভবিষ্যতে ওকে যেনো আর বেলুন বিক্রির জীবন বেছে নিতে না হয়। এটাই প্রার্থনা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।