মুখের দুর্গন্ধ: কোন রোগের লক্ষণ?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই তা টের পাওয়া যায় না। যে কোনও অসুখের ক্ষেত্রে যতো আগে রোগের উপস্থিতি টের পাওয়া যায় ততোই ভালো। তবে কী মুখের দুর্গন্ধই কী ডায়াবেটিসের লক্ষণ?

সারা বিশ্বেই বর্তমানে ডায়াবেটিসের প্রকোপ খুব বেশি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে ৩০ পেরোতে না পেরোতেই বহু মানুষ আক্রান্ত হন ডায়াবেটিসে। এক সমীক্ষা বলছে, প্রতিবছর প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই তা বুঝতে পারা যায় না। যে কোনও অসুখের ক্ষেত্রে যতো আগে রোগের উপস্থিতি বোঝা যাবে ততোই ভালো। এতে আগাম সতর্ক হওয়া সম্ভব হয়।

ডা়য়াবেটিসের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, পানি খাওয়ার পরও জিভ তেষ্টায় শুকিয়ে আসা, চোখে ঝাপসা দেখা, ওজন হ্রাস পাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতার মতো কিছু উপসর্গও দেখা যায়। এগুলো ছাড়াও চিকিৎসকরা বলেছেন, দুর্গন্ধযুক্ত নি:শ্বাসও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।

রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে মুখের চারপাশের অংশে তার প্রভাব পড়ে। ডায়াবিটিসের প্রভাবে কি়ডনি, হৃদ্‌যন্ত্র, শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঠিক জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়ায় বিধিনিষেধ, নিয়ম করে শরীরচর্চা করার ফলেডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে প্রস্রাব এবং দাঁতের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

নি:শ্বাস অর্থাৎ মুখ থেকে দুর্গন্ধ বার হওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘হ্যালিটোসিস’। যদি রক্তে শর্করার মাত্রা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় এবং তার সঙ্গে এই সমস্যাগুলি দেখা দিলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই নি:শ্বাস দুর্গন্ধজনিত সমস্যা, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা, প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলোকে ‘ ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’ও বলা হয়ে থাকে। রক্তে ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিসের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে শরীর শর্করা বিপাকের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না। যে কারণে শরীরে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা শুরু করে দেয়। ফলশ্রুতি হিসাবে শরীরে ‘কিটোন ব়ডি’ তৈরি হয়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা ২৫০ থেকে ৩০০-র বেশি হলে এই ধরনের সমস্যাগুলোর জন্ম হতে পারে।

শরীরে কিটোন রয়েছে কি না তা জানতে রোগীর প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হয়। এই ‘হ্যালিটোসিস’ ও ‘ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’ ডা়য়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনকও হয়ে উঠতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।