পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোগা হওয়ার দীর্ঘ পর্বে এসে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে, পানি খেয়েই কমিয়ে ফেলতে পারেন ওজন।

প্রকৃত পক্ষে ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নিয়মিত শরীরচর্চা, পরিমিত খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা, সব মিলিয়ে ওজন কমানোর অনেক ঝক্কি। তবে শরীর সুস্থ রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। রোগা হওয়ার এই দীর্ঘ পর্বে এসে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, পানি খেয়েই কমিয়ে ফেলতে পারেন আপনার ওজন। কারণ পানি শরীরের জমে থাকা মেদ ঝরানোর অন্যতম অস্ত্রও হতে পারে।

ওজন কমাতে বেশি করে পানি খান

পানি কম খাওয়ার অভ্যাস কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয় তাই নয়। শারীরিক ক্রিয়াকলাপেও বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি খাওয়ার প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি শরীরে জমে থাকা চর্বি গলাতেও সাহায্য করে। দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও সমাধান হয়। কি়ডনি, থাইরয়েড, হৃদরোগ, লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে থাকলে আরও বেশি করে পানি পান করা প্রয়োজন।

কফিতে মিশিয়ে নিন দারচিনি

সারাদিনে কাজের ফাঁকে অনেকেই ঘন ঘন কফি খেয়ে থাকেন। আবার কফি খেয়েও রোগা থাকতে চাইলে তাতে মেশাতে পারেন দারচিনি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে সমান উপকারী এই দারচিনি। অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ দারচিনি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়াও এক চামচ দারচিনিতে ১.৬ গ্রাম ফাইবারও থাকে। ফাইবার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে থাকে।

গ্রিন টি

গ্রিন টিতে থাকে খুবই অল্প পরিমাণ ক্যাফিন। শরীরে বাড়তি মেদ ঝরাতে ক্যাফিন অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়াও এতে ‘ক্যাটেচিন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে যা বিপাক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে ওজন কমানোও তখন সহজ হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।