দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমে একসঙ্গে অনেক সব্জি এনে রেখে দিলে পচেও যেতে পারে । সঠিক পদ্ধতিতে শাক-সব্জি সংরক্ষণ না করলে পুষ্টিগুণও বজায় থাকে না। তাই সবজি ভালো রাখতে যা আপনাকে করতে হবে।
আমরা জানি শাক-সব্জি শরীরের যত্ন নেয়। সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে এই শাক-সব্জি। তার জন্য প্রয়োজন শাক-সব্জি সঠিকভাবে সংরক্ষণ। সারা সপ্তাহে বাজার করার সময়ই পান না অনেকেই। যে কারণে সপ্তাহান্তে বাজার থেকে একেবারে প্রয়োজনীয় শাক-সব্জি, ফলমূল অনেকেই কিনে রাখেন। বিশেষ করে এই গরমে একসঙ্গে অনেক সব্জি রেখে দিলে পচেও যেতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে শাক-সব্জি সংরক্ষণ না করলে রান্না করা পর্যন্ত তার পুষ্টিগুণও বজায় থাকে না।
শাক-সব্জি ঠান্ডা স্থানে রাখুন
সব্জি বাড়িতে এনেই অনেকেই ঝুড়িতে কিংবা অন্য কোনও পাত্রে রেখে দেন। তাতে সব্জি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে সব্জির পুষ্টিগুণও চলে যেতে পারে। শাক-সব্জি, ফলমূল তাজা এবং সতেজ রাখতে সেগুলো ফ্রিজে তুলে রাখুন। অথবা সুতির নরম কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে তাতে সব্জিগুলি মুড়ে রাখতে পারেন। তবে এই টোটকা সব সব্জির ক্ষেত্রে অবশ্য প্রযোজ্য নয়। টমেটো কিংবা লঙ্কা এভাবে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একান্তই প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখলে ব্যাগে দু-একটা ছিদ্র করে তারপর রাখতে পারেন।
সব্জি রাখুন খোলা বাতাসে
বাজার থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দেওয়া সব্জি অনেকেই বাড়িতে এনেই সে ভাবেই রেখে দেন। এতে সব্জির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার তাড়াতাড়ি পচেও যেতে পারে। তাই বাজার থেকে সব্জি কিনে আনার পরই তা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে বের করে খোলা হাওয়ায় রাখুন। সব্জি বেশ অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
রান্নার সময় মনোযোগী হোন
শাক-সব্জির পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রান্নার পদ্ধতিও সঠিক হওয়া দরকার। শাক-সব্জির পুষ্টিগুণ নির্ভর করে তা কতোটা আঁচে কিংবা কতোক্ষণ ধরে রান্না হচ্ছে তারউপর। বেশিক্ষণ ধরে অতিরিক্ত আঁচে রান্না করা মোটেও ঠিক নয়। এতে করে সব পুষ্টিগুণই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়াও রান্নায় কতোটা পানি দেবেন তার উপরও নির্ভর করছে রান্নার পরেও সব্জি কতোটা পুষ্টিকর থাকবে। সে কারণে শাক-সব্জি দিয়ে তরকারি রান্না করার সময় অল্প আঁচে করুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।