দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (বিপিবিএল) এর বার্জার আর্টিস্টা পণ্যের ব্যানারে সম্প্রতি ক্ষুদে আঁকিয়েদের জন্য একটি আর্ট কম্পিটিশনের আয়োজন করেছে।
এ প্রতিযোগিতায় ৪৯৩টি চিত্রকর্ম জমা পড়ে, যেখান থেকে আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেয়ার জন্য শীর্ষ ৫০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এ আর্ট ক্যাম্পটি, গত শনিবার (০২ এপ্রিল) সবার সরাসরি উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেওয়া বিজয়ীদের সনদ ও অন্যান্য আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ক্ষুদে আঁকিয়েদের জন্য বাংলাদেশ বিষয়ের ওপর চিত্রকর্ম প্রতিযোগিতাটি দু’টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়; এক ক্যাটাগরিতে ১০ বছরের কম বয়সী শিশু এবং অন্য ক্যাটাগরিতে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা অংশ নেন। উন্মুক্ত আহ্বানের মাধ্যমে অনলাইনে প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে শিশুরা তাদের চিত্রকর্মগুলো বার্জারের অফিশিয়াল ফেসবুকে পেজে জমা দেয়।
চিত্রকর্মগুলো জমা পড়ার পর, ৫০ জন (দু’টি গ্রুপ থেকে ২৫ জন করে) অংশগ্রহণকারীকে আর্ট ক্যাম্পের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
আর্ট ক্যাম্পটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয়। আর্ট ক্যাম্পটির সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের পেইন্টিং এবং ড্রয়িং বিভাগের প্রভাষক বিশ্বজিৎ গোস্বামী। ক্যাম্পে অংশ নেয়া ৫০ জন ক্ষুদে আঁকিয়েদের নিয়ে শিল্পকর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ, সভা ও কর্মশালা আয়োজনের পাশাপাশি তাদেরকে অংশগ্রহণের সনদ ও এক বক্স বার্জার আর্টিস্টা প্রদান করা হয়।
নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীরা চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তারা ‘আমার রঙিন ভূবন’ প্রতিপাদ্যে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম আঁকেন। অনুষ্ঠানে ছয় জন বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) এ কে এম সাদেক নাওয়াজ বলেন, “বাংলাদেশে তৈরি প্রথম অ্যাক্রিলিক পেইন্ট বার্জার আর্টিস্টা, যেখানে বিভিন্ন শেডের অ্যাক্রিলিক রঙ রয়েছে। বার্জার আর্টিস্টা’র এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীটি দেশের ক্ষুদে আঁকিয়েদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীটি শিশু ও তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে, যার মাধ্যমে তারা স্থানীয় কমিউনিটি, সংস্কৃতি, ইতিহাসকে তুলে ধরতে পারবে।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।